শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার সাগর ‘মাছশূন্য’ করছে ভারতীয়রা, বাড়ছে ক্ষোভ ◈ রাজাকার গালি নয়, অ্যাওয়ার্ড হয়ে গেছে: মিজানুর রহমান আজহারি ◈ চাপানোর ক্ষমতা আমাদের নেই, কেবল বুঝাবো কেন প্রয়োজন এবং কীভাবে করা যায়: প্রধান উপদেষ্টা ◈ জাতীয় নাগরিক কমিটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় আগে ◈ বাংলাদেশি ৫ কৃষককে সীমান্তে বিএসএফের মারধর, বিজিবির কড়া প্রতিবাদ ◈ হঠাৎ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি! ◈ অতিদ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা: মির্জা ফখরুল ◈ প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে, রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো: প্রধান উপদেষ্টা ◈ আইরিশ ফুটবলার রাতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে সকালে গেলেন স্কুলে ক্লাস করতে ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দেখা যাবে টি-স্পোর্টসসহ যেসব চ্যানেলে

প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৪৪ দুপুর
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার গাজায় ‘রেডিমেড’ বাড়ি প্রবেশে ইসরায়েলের বাধা

১৫ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা দৃশ্যত বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ সময় পর যুদ্ধবিরতি চললেও এখনো মানবেতর দিন কাটছে গাজাবাসীর। ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির ধ্বংসস্তুপের মধ্যেই তাঁবু বানিয়ে বাস করছেন তারা। যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী অনুযায়ী, অস্থায়ীভাবে বাস করা অনেক ঘরবাড়ি মিশরের সীমান্তে আনা হলেও ইসরায়েলের বাধায় এখনো গাজায় ঢুকতে পারেনি। গাজায় প্রবেশের জন্য এসব ঘরবাড়ি ইসরায়েলের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই সপ্তাহ পার হলেও ইসরায়েল মাত্র ৪ শতাংশ প্রয়োজনীয় তাঁবু প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে এবং কোনো ক্যারাভানই প্রবেশ করতে দেয়নি। একইসঙ্গে তারা এখনো ধ্বংসস্তূপ অপসারণে প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতির প্রবেশ নিষিদ্ধ করে রেখেছে। গাজায় আনুমানিক ১৪ হাজার নিখোঁজ ব্যক্তি রয়েছে, যাদের অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চুক্তি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত প্রবেশের অনুমতি পাওয়া তেলবাহী ট্রাকের মাত্র ৫ শতাংশ গাজায় ঢুকতে পেরেছে। ধ্বংস হয়ে যাওয়া ৩০টিরও বেশি হাসপাতাল পুনর্গঠনের কোনো অনুমতি এখনো মেলেনি। এ ছাড়া আটটি তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালসহ বেশ কিছু চিকিৎসা সুবিধা মিশরীয় শহর আরিশে সংরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, কারণ ইসরায়েল সেগুলোর প্রবেশ অনুমোদন দেয়নি। যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে প্রতিদিন ১৫০ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য বের হতে দেওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েল প্রতিদিন মাত্র ৪৪ জনকে অনুমতি দিয়েছে। এমনকি কিছু আহত ব্যক্তি রাফাহ সীমান্তে অপেক্ষারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।

এটা স্পষ্ট যে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে এবং দুর্দশাপূর্ণ পরিস্থিতি অব্যাহত রাখতে চায়, যাতে তারা মানবিক সংকটকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে যুদ্ধাপরাধের শামিল। দুই মিলিয়ন গাজাবাসী এখনো গণহত্যা ও ধ্বংসের প্রতিক্রিয়া ভোগ করছে। তাদের জন্য আশ্রয় নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ও আঞ্চলিক দেশগুলোর উচিত ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, যাতে তারা মানবিক সহায়তার প্রবেশে বাধা না দেয় এবং এই ইস্যুকে ইসরায়েলি সরকারের বর্ণবাদী লক্ষ্য থেকে দূরে রাখা যায়।

আঞ্চলিক শক্তিগুলোর—বিশেষ করে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর এখানে বড় ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। যদিও তারা অনেক সহায়তা পাঠিয়েছে, তার কিছু অংশ গাজায় প্রবেশ করলেও বেশিরভাগই আটকে রয়েছে। এজন্য এসব দেশের উচিত ইসরায়েলের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করা, যাতে সহায়তা প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যায় এবং পরবর্তী আলোচনার পর্যায়ে যাওয়া সম্ভব হয়।

ফিলিস্তিনিদের মানবিক অধিকার হরণ এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত আশ্রয়সামগ্রী প্রবেশে বাধা দেওয়া গাজার পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে। এটি মূলত চরমপন্থি ইসরায়েলি ডানপন্থিদের পরিকল্পনার অংশ, যা গাজার জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার পথ প্রশস্ত করতে পারে।

জাতিসংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গাজা উপত্যকার ধ্বংসযজ্ঞকে ‘একটি বিশাল ভূমিকম্পের’ সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, একটি অব্যাহত ‘মানবিক বিপর্যয়’ এড়াতে প্রচেষ্টা চালানো উচিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়