ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন। সেদিন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। বৈঠকের আগে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং করেছেন ট্রাম্প। সেই ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিগত বাইডেন প্রশাসন যে প্রভাব রেখেছিল এবং যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে— ট্রাম্প প্রশাসনের আমলেও তা অব্যাহত থাকবে কি না।
আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এমনি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। ভিডিতে দেখা যায়, নরেন্দ্র মোদি পাশে বসে আছেন ট্রাম্প। সেখানেই বাংলাদেশ বিষয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভিও এই তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠক শুরুর আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন দুই নেতা। এ সময় একে অপরকে আলিঙ্গন করেন ও হাত মেলান ট্রাম্প-মোদি।
দুই নেতা গণমাধ্যমের কাছ থেকে আসা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এমন এক প্রশ্নে উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।
এক সাংবাদিক বলেন; মিস্টার প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ইস্যুতে আপনি কী বলতে চান? কারণ আমরা দেখেছি, কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেট বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির শাসন পরিবর্তনে জড়িত ছিল—এটি স্পষ্ট। আর তারপর মোহাম্মদ ইউনুস জুনিয়র সোরোসের সাথেও দেখা করেন... সুতরাং বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার মতামত কী?
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, না আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে কোনও ভূমিকা ছিল না। (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন ধরে কাজ করেছেন...। আসলে আমি পড়েছি (ভারত) এটা নিয়ে শত শত বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিষয়টি (উত্তর দিতে) আমি (ভারতের) প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেবো’, পাশে বসা নরেন্দ্র মোদির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন ট্রাম্প।
কিন্তু আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ইঙ্গিতে মোদি কোন উত্তর দেননি, মোদি ইউক্রেন প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।