সম্প্রতি গাজীপুরের কানাইয়া গ্রামে টিউলিপ টেরিটরিসহ চারটি বিলাসবহুল বাংলোবাড়ির সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মালিকানায় রয়েছেন টিউলিপের মা শেখ রেহানা ও বাবা শফিক আহমেদ সিদ্দিক। ‘অবৈধ জমি দখল’ এর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক।
ওই বাংলোর নামকরণ করা হয়েছে টিউলিপের নামে। তাই তিনিও সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন জানিয়েছে, এসব জমি ও বাংলোর মালিকানার ‘বৈধতা’ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির দাবি, তার (টিউলিপের) নামে শুধু ওই বাংলোর নামকরণ করা হয়েছে। দখলদারিত্বের সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ করে, গাজীপুরে শেখ রেহানার পরিবারের সদস্যদের একের পর এক রিসোর্ট ও বাংলোবাড়ির সন্ধান মিলছে। বিভিন্ন সময়ে কেনা এসব রিসোর্ট ও বাংলোবাড়ি অবসর সময় কাটানোর জন্য করা হয়।
সরকারি নথি বলছে, তার বাবার মালিকানাধীন আট বিঘা (৩.৩ একর) জমির মধ্যে এই বাংলো বিস্তৃত। তবে সেই তুলনায় আরও অনেক বেশি জায়গা দখল করে সেখানে দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে।
এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা টেলিগ্রাফকে জানান, ভূমি কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে অবৈধভাবে এসব জমি দখল করা হয়েছে। এরপর আর নিবন্ধিত করা হয়নি। জমি দখল এবং কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য এটি একটি সাধারণ কৌশল।
এ বিষয়ে টিউলিপের মুখপাত্রও লেবার পার্টির সুরে কথা বলছেন। তিনি জানান, এসব অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। তিনি এ অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করছেন।
শুক্রবার ওই বাংলো পরিদর্শন করেছে দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিনিধিদল। সেখানে তারা দেখতে পান টিনের ঘর, খেজুর গাছ, কাঠের নৌকাসহ একটি পুকুর, গোলাপী ডুপ্লেক্স ভবন সব ভেঙে চুরে একাকার হয়ে গেছে। আগুনেও পুড়েছে অনেক সম্পদ। গত বছর পাঁচ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর টিউলিপের সেই বাড়িতে হামলা করেছিলেন বিক্ষুব্ধ জনতা। উৎস: যুগান্তর।
আপনার মতামত লিখুন :