মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)। শুক্রবার এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, তারা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কাজ চালিয়ে যাবে এবং বিশ্বজুড়ে নিরপরাধ নির্যাতিতদের জন্য আশা বয়ে আনবে।
আইসিসি এক বিবৃতিতে জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত আদালতের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারিক কাজকে বাধাগ্রস্ত করার একটি চেষ্টা। আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের পাশে আছি এবং আমাদের বিচারিক দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখব।
আইসিসি আরও জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসন আদালতের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ জব্দ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। একই সঙ্গে, যারা আদালতের তদন্তে সহায়তা করবে, তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
এর আগে ট্রাম্প আদালতের কর্মকাণ্ডকে ‘অবৈধ ও ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরাইলকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর অভিযোগ তোলেন।
ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউ কাউন্সিলের প্রধান আন্তোনিও কোস্তা বলেছেন, আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা তার স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলবে এবং বৈশ্বিক বিচার ব্যবস্থাকে দুর্বল করবে।
ইউরোপীয় কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার ও অপরাধের দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আইসিসির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞাকে ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করে এবং আদালতকে আরও শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
অন্যদিকে, ইসরাইল ট্রাম্পের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করে বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের প্রশংসা জানাই। আইসিসির কার্যক্রম অনৈতিক এবং এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, আইসিসি ইসরাইলি সেনাদের গাজায় যুদ্ধাপরাধ তদন্ত এবং আফগানিস্তানে কাজ করা মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের মাধ্যমে ‘অযৌক্তিক’ ভূমিকা পালন করছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল— উভয়ই আইসিসির সদস্য নয়।
আপনার মতামত লিখুন :