শিরোনাম
◈ ফের ঢাকা-দিল্লি কূটনৈতিক উত্তেজনা: টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট ◈ শিকলে বাঁধা ভারতীয় অভিবাসীদের নিয়ে যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যা বললেন আজহারী ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা জারি ◈ ঝিনাইদহে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে ভাঙচুর-আগুন ◈ পাকিস্তান এ’ দলের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ◈ তামিম ইকবাল লঞ্চে করে ট্রফি নিয়ে বরিশাল যেতে চান ◈ বিপিএলের ফাইনালে আজ ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস মুখোমুখি ◈ ধানমন্ডি ৩২ এ হামলার বিষয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার ◈ কঠোরভাবে আইন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ করুন: সরকারকে বিএনপি

প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:১২ দুপুর
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধানমন্ডির ঘটনা নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম যা বলছে

কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলা সংবাদপত্র 'আনন্দবাজার পত্রিকা', 'এই সময়', 'বর্তমান' থেকে শুরু করে ইংরেজি সংবাদপত্র 'দ্য টেলিগ্রাফ', 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-এ বাংলাদেশের বুধবার রাতের ঘটনাবলীর বিষয়ে প্রতিবেদন রয়েছে।

সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধানে 'ভেঙেপড়া' আইন পরিস্থিতির বিষয়ে যেমন বলা হয়েছে, তেমনই উল্লেখ করা হয়েছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ওই ভবনটির স্মৃতি-বিজড়িত ঐতিহ্যের কথাও।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ঠিক ছয় মাস আগে আগস্টের ৫ তারিখ সন্ধ্যায় আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল ঢাকায় ৩২ নম্বর রোডে শেখ মুজিবুর রহমানের বসতবাড়িটি। টিকেছিল কংক্রিটের কাঠামোটুকু।’

অর্ধেক বছর পরে আচমকা কর্মসূচি নিয়ে সেই কাঠামো ক্রেন, ড্রিল ও ভ্যাকুয়াম মেশিন দিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিলো 'ছাত্র-জনতা’।

অন্যদিকে, বুধবার রাতের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে 'দ্য টেলিগ্রাফ'-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির কথা।

'দ্য টেলিগ্রাফ'-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের নৈরাজ্যের পরিস্থিতির কথা সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় যখন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের ঢাকাস্থিত ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে একদল মানুষ সহিংস হামলা চালান।’

‘মুজিবের বাড়ি গুঁড়িয়ে 'শিক্ষা' হাসিনাকে’
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রথম পাতায় ধানমন্ডির ঘটনা সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তার শিরোনাম- মুজিবের বাড়ি গুঁড়িয়ে 'শিক্ষা' হাসিনাকে।

প্রথম দুই অনুচ্ছেদে ঘটনার বিবরণের পর ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গোটা দেশ সেই ধ্বংসযজ্ঞের টাটকা সম্প্রচার যখন অবাক চোখে দেখছে’।

‘এই ধ্বংসযজ্ঞ চলার সময়ে, দেশছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দল আওয়ামী লীগের কর্মীদের উদ্দেশে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় বলছেন, ধানমন্ডির এই ছোট্ট বাড়িটি আমার মা তিলে তিলে অর্থ সঞ্চয় করে গড়েছিলেন। এই বাড়ি থেকেই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।’

‘রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার পরেও বাবা এই বাড়িতেই থেকে গিয়েছিলেন। কত রাষ্ট্রপ্রধান এই বাড়িতে পদার্পণ করেছেন। বিশ্বাসঘাতকেরা এই বাড়িতেই বাবা-মাসহ গোটা পরিবারকে হত্যা করেছে।’

‘আজ এই বাড়ি গুঁড়িয়ে শুধু আমাদের দুই বোনের স্মৃতিকে ধ্বংস করা হলো না, বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি প্রামাণ্য দলিলকে নষ্ট করল ইউনূসের বাহিনী।’

‘নতুন বাংলাদেশ! গুঁড়িয়ে দেয়া হলো বঙ্গবন্ধুর বাড়ি’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঘটনা নিয়ে বাংলা সংবাদপত্র বর্তমানের প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তার শিরোনাম, 'নতুন বাংলাদেশ! গুঁড়িয়ে দেয়া হলো বঙ্গবন্ধুর বাড়ি'।

ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে...', মধ্যরাতে স্লোগান তুলল 'নতুন' বাংলাদেশ। 'বুলডোজার মিছিল' করে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ৩২, ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন। শেখ হাসিনা তখন দিল্লিতে বসে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্তা দিচ্ছেন সমর্থকদের।’

‘বাংলাদেশে হাসিনা সরকার পতনের ছ’মাস পূর্তির দিনেই ঢাকায় মৌলবাদী নিশানায় শেখ মুজিবুর রহমান। তার দেশত্যাগের পরই বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়েছিল 'বিপ্লবী ছাত্র-জনতা।’ বুধবার, ফের তাদের আক্রোশ আছড়ে পড়ল ওই বাড়িতে।’

একইসাথে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কিভাবে আরো একবার 'অশান্ত' হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।

'ঢাকায় তাণ্ডব মুজিব-ঘরে, অ্যাকশনে বুলডোজারও'
বাংলা সংবাদপত্র 'এই সময়'-এর প্রথম পাতার অ্যাঙ্কর পোজিশনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘ফের নিশানায় ৩২ নম্বর ধানমন্ডি! বাংলাদেশে আবারো প্রবল জনরোষ আছড়ে পড়ল বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি-বিজড়িত বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুরের পর উত্তেজিত জনতার একাংশ আগুনও লাগিয়ে দিলো বাড়ির দ্বিতীয় তলার একাংশে। গভীর রাতে অ্যাকশনে নামল বুলডোজারও। পরপর দেওয়াল-পিলার গুঁড়িয়ে গেল নিমেষে।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, উপস্থিত থাকলেও 'নীরব দর্শক'-এর ভূমিকা নেয় সেনা-পুলিশ। তার মধ্যেই উত্তাল স্লোগান- 'জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে'। একইসাথে ওঠে ‘জুলাই বিপ্লবে গণহত্যার দায়ে’ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিও!’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়