পার্স-টুডে- হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেছেন, ইউরোপ ইউক্রেনে যুদ্ধ জোরদারের চেষ্টা করছে। তিনি বলেছেন, ইউরোপীয়রা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জোরদারের চেষ্টা করছে যাতে কিয়েভ মস্কোকে যুদ্ধে হারিয়ে দিতে পারে। অরবান বলেছেন, বুদাপেস্ট আলোচনার মাধ্যমে এই যুদ্ধের অবসান ঘটানোকে সমর্থন করে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের ফলে ইউক্রেন ১০০ বছর পিছিয়ে গেছে এবং ইউক্রেনের জ্বালানি ব্যবস্থাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সাবেক মার্কিন সরকার জনগণকে এটা বুঝিয়েছে যে ইউক্রেন রাশিয়াকে পরাস্ত তো করবেই এমনকি রাশিয়াকে ধ্বংসও করবে। ফলে মার্কিন সরকার এক অচলাবস্থাকে অর্থ যুগিয়ে আসছিল।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র পাঠিয়েছেন এবং তিনি এর ওপর জোর দিয়ে আসছিলেন যে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় প্রবেশ কিয়েভের সম্মতির ওপর নির্ভর করছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় দাবি করেছিলেন যে তিনি খুব দ্রুত এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন, কিন্তু এখনও কোনো সমাধানের পথ দেখাতে পারেননি।
ওদিকে ব্রিটিশ দৈনিক টাইমস লিখেছে, ইউরোপীয় দেশগুলো এখনও ইউক্রেনে শান্তি-রক্ষী পাঠানোর ব্যাপারে একমত হতে পারেনি। ব্রিটেন, ফ্রান্স ও নর্ডিক দেশগুলো যুদ্ধ-বিরতি হলে ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী পাঠাতে আগ্রহী কিন্তু জার্মানি, পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলো এর বিরোধী। তারা বলছে এ ধরনের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে তা ন্যাটোর প্রতিরক্ষার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ ছাড়াও ট্রাম্প এ জাতীয় প্রস্তাব মেনে নেন কিনা তাও দেখার বিষয়। যদি সেখানে শান্তিরক্ষী পাঠানো হয় তাহলে ওই রক্ষীদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সেখানে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও বিমান পাঠাতে হবে।
ব্রিটেন ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী হিসেবে ১০ থেকে ২৫ হাজার সেনা পাঠাতে প্রস্তুত যদিও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হবে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন যুদ্ধ-বিরতির পর দুই লাখ ইউরোপীয় শান্তি রক্ষীর দরকার হবে যাতে নতুন কোনো রুশ হামলা ঠেকানো যায়। অনেকেই বলছেন জাতিসংঘের মাধ্যমে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়াই হবে যৌক্তিক এবং তা হয়ত রাশিয়া মেনে নেবে।
আপনার মতামত লিখুন :