শিরোনাম

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৮:১৬ রাত
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০২:৪৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বিশাল ছাড়’ ভারতের জাতীয় বাজেটে আয়করে

ভারতের জাতীয় বাজেটে আয়কর সীমায় বিশাল ছাড় দিয়েছে দেশটির সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশটির মধ্যবিত্তদের খুশি করার লক্ষ্যে এমন বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৭ মিনিটের বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছেন, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত বেতনভোগী কর্মীদের জন্য বছরে ১২ লাখ ৭৫ হাজার রুপি পর্যন্ত আয়ের উপর কর লাগবে না।

এবার বাজেটে আয়কর কাঠামোর পরিবর্তন করা হয়েছে। চার লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো কর লাগবে না। চার থেকে আট লাখ টাকা পর্যন্ত পাঁচ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। আট থেকে ১২ শতাংশ হলে ১০ শতাংশ হারে, ১২ থেকে ১৬ লাখ আয়ের মানুষদের ১৫ শতাংশ, ১৬ থেকে ২০ হলে ২০ শতাংশ, ২০ থেকে ২৪ লাখ হলে ২৫ শতাংশ এবং তার বেশি হলে ৩০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে।

যাদের আয় বছরে ১২ লাখ, তাদের কর ধার্য হবে ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু বিভিন্ন ছাড়ের সুয়োগ নিয়ে তারা ৬০ হাজার টাকা বাঁচাতে পারবেন। ফলে তাদের কর দিতে হবে না। আর স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৭৫ হাজার টাকা। তাই সবমিলিয়ে ১২ লাখ ৭৫ হাজার পর্যন্ত বেতনভোগীদের কর শূন্য হয়ে যাবে।

আগামী সপ্তাহে আয়কর বিল আনা হবে। সেখানে আয়করের নিয়ম অনেক সরল করা হবে বলে নির্মলা জানিয়েছেন।

আর চারদিন পরেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানকার ভোটারদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয়, রাজ্য সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত কর্মী আছেন। ফলে আরকর ছাড়ে তারা খুশি হবেন বলেই বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন। ভোটের প্রচারে নেমে দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, ১২ লাখ আয়ের মানুষদের যাতে কর দিতে না হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। বিজেপি নেতারা বলছেন, দিল্লিতে প্রধান বিরোধী নেতার দাবির থেকেও বেশি ছাড় দেয়া হয়েছে।

বাজেট পেশ করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়ে সংসদে যাওয়ার আগে নির্মলা সীতারামন। বাজেট পেশ করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়ে সংসদে যাওয়ার আগে নির্মলা সীতারামন। 

বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হবে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে। সেই বিহারের জন্য নির্মলা সীতারামন একাধিক সুখবর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিহারে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজি' তৈরি করা হরবে। এ ছাড়া পাটনা বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করা হবে। বিমানবন্দরের উন্নতির জন্য তিনি যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ করেছেন। এ ছাড়া চারটি নতুন গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর এবং একটি ব্রাউনফিল্ড বিমানবন্দর নির্মাণের কথাও বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। পাটনা আইআইটির পরিকাঠামোর উন্নতি করতে অর্থবরাদ্দ করেছেন তিনি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়