ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযান জোরদার হয়েছে। চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। গত দুই দিনেই দুই হাজারের বেশি অভিবাসীকে আটক করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। অভিযান শুরু হয়েছে বাংলাদেশি অধ্যুষিত নিউইয়র্ক শহরেও।
সদ্য বিদায়ী বাইডেন সরকারের নীতি থেকে সম্পূর্ণ বিপরীতে চলছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। মার্কিন অনুদান ও ঋণ সহায়তা বন্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন, সেই পরিকল্পনার কিছু অংশ স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্টের আদেশটি কার্যকর হওয়ার আগে ফেডারেল আদালতের একজন বিচারক এ স্থগিতাদেশ দেন।
২০২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন বা ১০ লাখ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। যার মধ্যে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান ও ঋণ হিসেবে বরাদ্দ ছিল। এরমধ্যে কংগ্রেসের অনুমোদন ছিল পৌনে সাত ট্রিলিয়ন বা ৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি ডলার।
তবে এটি স্পষ্ট নয় যে, এই পরিমাণ অর্থ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের জন্য বরাদ্দ ছিল, নাকি এতে বিদেশি সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার বলেছেন, কংগ্রেস অনুমোদিত ব্যয় বন্ধ করার অধিকার প্রশাসনের নেই। এই আদেশ বাস্তবায়িত হলে লাখ লাখ মার্কিনির ক্ষতি হবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে অলাভজনক সংস্থা, দুর্যোগ সহায়তা, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বয়স্কদের সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। তবে বিষয়টি মানতে নারাজ হোয়াইট হাউস।
প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট ব্রিফিংয়ে বলেন, এতদিন মার্কিনদের করের অর্থ অপচয় হচ্ছিল। এতে জনগণের দৈনন্দিন জীবনের কোনো উন্নতি হয়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুরু তার নির্বাচনী নীতিমালা বাস্তবায়ন করছেন।
এদিকে, বৈধ কাগজপত্র নেই এমন অভিবাসীদের গ্রেফতারে অভিযান জোরদার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। অভিযান শুরু হয়েছে বাংলাদেশি অধ্যুষিত নিউইয়র্কেও।
মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন স্থানে ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট সদস্যরা অভিযান চালায়। মার্কিন গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, গত দুই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে দুই হাজারেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যা বিগত বাইডেন প্রশাসনের অধীনে প্রতিদিনের গড় গ্রেফতারের সংখ্যার তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। উৎস: সময়নিউজটিভি।
আপনার মতামত লিখুন :