পার্সটুডে: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন: আমি চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধ চাই না। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প চীনের ওপর বাণিজ্য শুল্ক আরোপের ব্যাপারে তার ওই অনীহার কথা জানান।
ট্রাম্প বলেন: চীনের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগের জন্য ট্যারিফ নামে আমাদের অত্যন্ত শক্তিশালী একটি হাতিয়ার রয়েছে। তিনি আরও বলেন: তবে আমি এই হাতিয়ার ব্যবহার করতে চাই না, কারণ আমি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে চাই। পার্সটুডে আরও জানায়, ট্রাম্পের নতুন এই দাবি হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয়বারের মতো প্রবেশের আগে দেওয়া তার বক্তব্য ও অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কেননা তিনি চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করার ইচ্ছা রাখেন না বলে এখন বললেও ২০ জানুয়ারী, ২০২৫ তারিখে তিনি ঠিক বিপরীত বক্তব্য দিয়েছিলেন।
২০ জানুয়ারি তিনি বলেছিলেন তার প্রশাসন চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর শতকরা ১০ ভাগ শুল্ক আরোপের কথা বিবেচনা করছে। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেই চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক যুদ্ধ শুরু করেছিলেন।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের আগে ট্রাম্প সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ট্রুথ-এ একাধিক পোস্ট লিখেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছেন: দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই তিনি কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে আমদানি করা সমস্ত পণ্যের উপর শতকরা ২৫ ভাগ শুল্ক আরোপের ব্যাপারে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন। আর শতকরা ১০ ভাগ শুল্ক আরোপ করা হবে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর। ট্রাম্প আবারও আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করে বিশ্বের সাথে একটি বিশাল বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করার পরিকল্পনা করছেন। এই চাপ এবং বলপ্রয়োগের নীতি গ্রহণ করে আমেরিকার বাণিজ্যিক অংশীদারদেরকে ওয়াশিংটনের দাবি মেনে নিতে এবং মেনে চলতে বাধ্য করানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।
এর অর্থ হলো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো বিশেষ করে চীন এবং জার্মানির মতো ইউরোপীয় বাণিজ্য অংশীদারসহ কানাডা, মেক্সিকো, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি পশ্চিমা ব্লকের অংশীদারদের সাথে একটি সর্বাত্মক বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করা।
বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমাজের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের যে অবস্থান, তার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন শুল্ক যুদ্ধ বিরোধী একটি বিশ্বজোট ধীরে ধীরে গড়ে উঠবে যেমনটি তার প্রথম মেয়াদেও হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :