মাজহারুল ইসলাম : উপচে পড়া বিপুল পরিমান মজুত কমাতে আগস্টের শেষ পর্যন্ত পাম তেল রপ্তানির ওপর শুল্ক মওকুফ করবে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ১৫ জুলাই থেকে শুরু হওয়া অপরিশোধিত পাম তেলের রপ্তানির ওপর শুল্ক প্রতি টন ২০০ ডলার থেকে শূন্য করা হয়েছে। যা অন্যান্য পাম তেল জাতীয় পণ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। ব্লুমবার্গের প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রপ্তানিকারকরা এ শুল্ক ইন্দোনেশিয়া অয়েল পাম প্ল্যান্টেশন ফান্ড ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিকে পরিশোধ করে থাকেন। আগামী সেপ্টেম্বরের ১ তারিখের মধ্যে প্রতি টন পাম তেলের দাম ১ হাজার ৫০০ ডলার ছাড়িয়ে গেলে টনপ্রতি ২৪০ ডলার শুল্ক প্রদান করতে হবে।
মূলত বিশ্বের বৃহত্তম পাম তেল উৎপাদনকারী দেশটি দেশীয় খাদ্য মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে এপ্রিলে পাম তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর থেকে বিভিন্ন দেশে খাদ্যশস্য সুরক্ষাবাদের একটি প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সরকারের পাম তেল রপ্তানি রুখে দেয়ার সিদ্ধান্ত যার মধ্যে অন্যতম। তবে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পথ পাল্টানোর পরও দেশটিতে পাম তেলের মজুত উপচে পড়েছে।
এরপরেই ইন্দোনেশিয়ার সরকার রপ্তানি ত্বরান্বিত করতে ও স্থানীয় সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বৈশ্বিক পাম তেলের দামে গেল এপ্রিলে যে রেকর্ড হয়েছিল, তা প্রায় ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশ্বে সব ভোজ্যতেলে মধ্যে পাম তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এর দাম বৈশ্বিক সয়াবিন তেলের দামের ওপরও ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে।
এ সপ্তাহে বেঞ্চমার্ক ফিউচারে তেলটির দাম ১৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সরকারি তথ্য বলছে, রপ্তানি আবার শুরু হওয়ায় জুন মাসে ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল রপ্তানি বেড়ে ১ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন টনে উঠে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :