শিরোনাম
◈ খালেদা জিয়ার সব রিপোর্ট কবে পাওয়া যাবে জানালেন ডা. জাহিদ (ভিডিও) ◈ এসবির প্রধান হলেন অতিরিক্ত আইজিপি গোলাম রসুল ◈ গণভবনে টিউলিপের প্রচারপত্র, গয়না, সোনার প্রলেপযুক্ত কলমের মোড়কসহ আরও যা দেখা গেল ◈ ফের অশান্ত শিক্ষাঙ্গন ◈ বিদ্যুৎ প্লান্টের লোহা তামা স্টিল সামগ্রী চুরির দায়ে বিএনপির একাধিক নেতাসহ ৫০ জনের নামে মামলা ◈ বাংলাদেশ-ভারতের পাল্টা-পাল্টি তলব ◈ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের জেসি ◈ বিপিএল, সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারালো চিটাগাং কিংস ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ, জাকসু নির্বাচন বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন উপাচার্য

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৭:৩৭ বিকাল
আপডেট : ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাঁচ বছরে ৬৪ জন একাধিকবার ধর্ষণ করে ১৩ বছরের তরুণীকে, বর্তমানে বয়স ১৮

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় এক দলিত তরুণীকে পাঁচ বছরে ৬৪ জন একাধিকবার ধর্ষণ ও নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ১৩ বছর বয়স থেকে তাঁকে ধর্ষণ শুরু করে নরপিশাচরা। বর্তমানে ওই তরুণীর বয়স ১৮ বছর।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

পুলিশ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তরা ১৭ থেকে ৪৭ বছর বয়সী। এদের মধ্যে তরুণীর প্রতিবেশী, ক্রীড়া কোচ এবং তার বাবার বন্ধুরাও রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং জনসমক্ষে কোনো বক্তব্য দেয়নি।

সরকারি এক প্রকল্পের অধীনে কাউন্সেলরদের একটি দল তরুণীর বাড়িতে গেলে তিনি এই নির্যাতনের কথা জানান।

ভারতের বিভিন্ন অপরাধবিরোধী আইন এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের অধীনে পুলিশ এ ঘটনায় প্রায় ১৮টি মামলা করেছে। এই আইন বিশেষত ভারতের নিম্নবর্ণ এবং উপজাতিদের বিরুদ্ধে অপরাধ দমনে করা হয়।

ভারতের হিন্দু বর্ণপ্রথার নিচের স্তরে থাকা দলিতরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক বৈষম্যের শিকার। তাদের সুরক্ষায় আইন থাকলেও এর অপব্যবহার অব্যাহত রয়েছে।

সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা নন্দকুমার এস বিবিসি হিন্দিকে জানিয়েছেন, যেহেতু নির্যাতনের ঘটনাগুলো ভুক্তভোগী নাবালিকা অবস্থায় ঘটেছে, তাই শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের (পকসো) অধীনে মামলা করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতনের ঘটনায় আরও বিস্তারিতভাবে তদন্ত চলছে এবং এ ঘটনায় আরও মামলা হতে পারে। ২৫ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।

তদন্তে জানা গেছে, ১৩ বছর বয়স থেকে মেয়েটিকে ধর্ষণ ও নির্যাতন শুরু হয়। প্রতিবেশী এক ব্যক্তি প্রথমে তাঁকে যৌন হয়রানি করে এবং তাঁর কিছু আপত্তিকর ছবি তোলে। এরপর ১৬ বছর বয়সে প্রতিবেশী আবার তাঁকে যৌন নির্যাতন করে এবং ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়। এরপর থেকেই একাধিক ব্যক্তি তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতন করে।

জেলার শিশু সুরক্ষা কমিটির (সিডব্লিউসি) প্রধান এক আইনজীবী ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী তরুণী খেলোয়াড় ছিলেন এবং বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। এসব ক্ষেত্রেও তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে মেয়েটিকে তিনবার গণধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা তরুণীর বাবার মোবাইলে ফোন করত। এখন সেই ফোনের ডেটা ব্যবহার করে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।

তরুণীর পরিবার এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানত না।

গত মাসে কাউন্সেলরদের একটি দল তরুণীর বাড়িতে গিয়ে এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে। এরপর কাউন্সেলররা সিডব্লিউসিকে ঘটনাটি জানান এবং তরুণীকে তাঁর মায়ের সঙ্গে কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়।

সিডব্লিউসির প্রধান ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, তরুণীকে কাউন্সেলিং দেওয়া হয়েছে এবং একজন মনোবিজ্ঞানীর কাছে তিনি যৌন নির্যাতনের বিস্তারিত খুলে বলেছেন।

ভুক্তভোগী তরুণীকে সিডব্লিউসির সঙ্গে যুক্ত একটি সুরক্ষা কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তরুণীর অভিযোগ ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তিনি এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার কাছে নির্যাতনের বিষয়ে বিস্তারিত বিবৃতি দেবেন বলে জানা গেছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়