শিরোনাম
◈ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিল ◈ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়ানোর অভিযোগে শিক্ষার্থী গ্রেফতার ◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং পরামর্শক ◈ ইউরোপিয়ান ফুটবলে জানুয়ারির মধ্যবর্তী দলবদল শেষ, দামী খেলোয়াড় খাভিছা ◈ পেলে, ম্যারাডোনা ও মেসির সঙ্গে আমার তুলনা চলে না, আমিই সর্বকালের সেরা: রোনালদো ◈ সুমাইয়াকে হয়রানি ও হত্যার হুমকি, কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে বাফুফে ◈ বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ ◈ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ◈ এবার জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিল ঘোষণা ◈ আগরতলায় কাল থেকে আবারও ভিসা কার্যক্রম শুরু করবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৯:০৮ সকাল
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

'আমেরিকা পশ্চিমা অশ্লীলতায় আটকা পড়ে আজ্ঞাবহ, জনবিরোধী ও বোকা ইরানি চেয়েছিল'

পার্সটুডে-ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: আজ আমাদের প্রচার যন্ত্রের মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল শত্রুর কর্তৃত্বের প্রভাব নষ্ট করা। ইরানের ধর্মীয় নগরী কোমে আজ হাজার হাজার জনতার এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরও বলেন: শত্রুর অপপ্রচার যেন জনমতকে প্রভাবিত না করে সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। তাসনিম বার্তা সংস্থা আরও জানিয়েছে, শাহ সরকারের বিরুদ্ধে ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর সমর্থনে ফার্সি ১৩৫৬ সালের ১৯ দেই তারিখে কোমে বিদ্রোহ করেছিল আপামর জনতা। সেই ১৯ দেই'র বার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে কোম শহরের বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়। ইমাম খোমেনি হোসেইনিয়াতে সমাবেত জনতা ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিম্নরূপ:

শাহের শাসনামলে ইরান ছিল আমেরিকার স্বার্থের একটি শক্তিশালী দুর্গ; এই দুর্গের ভেতর থেকেই বিপ্লব বেরিয়ে এসেছিল এবং টগবগ করে ফুটেছিল। আমেরিকানরা বুঝতে পারে নি, প্রতারিত হয়েছে, থ মেরে গিয়েছিল এবং হতবাক হয়ে গিয়েছিল; আমেরিকার হিসাবের ভুল মানে এই।

১৯ দেই বার্ষিকীতে কোমে সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্য 

বিপ্লবের পর, গেল কয়েক দশকে, আমেরিকানরা প্রায়ই ইরানী ইস্যুতে ভুল করেছিল। আমার কথার শ্রোতাদের মধ্যে বেশিরভাগই তারা, যারা আমেরিকার নীতিতে ভীত।সফ্টওয়্যারের কাজ মিথ্যাচার, বাস্তবতা এবং জনমতের চিন্তা-বনা, কল্পনার মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করা; বাস্তবে আপনি শক্তিশালী হচ্ছেন, কিন্তু সফ্টওয়্যার দেখাবে আপনি দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন। নিজেই দুর্বল হয়ে পড়ছে, অথচ শক্তিশালী হচ্ছে বলে বিজ্ঞাপনে দেখাবে। আপনি হুমকিকে পরোয়া করেন না কিন্তু সে বলবে: আমি হুমকি দিয়ে আপনাকে ধ্বংস করে দেব। এই বিজ্ঞাপনে অনেকে প্রভাবিতও হয়।

বর্তমানে আমাদের প্রচার যন্ত্রগুলোর গুরুত্বপূর্ণ একটা মৌলিক কাজ হলো: আমাদের সাংস্কৃতিক বিভাগগুলো, আমাদের প্রচার বিভাগগুলো, আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, আমাদের রেডিও এবং টেলিভিশন, আমাদের সাইবারস্পেস কর্মীদের, মূল কাজটি হল শত্রুর বিভ্রমের পর্দা ছিঁড়ে ফেলা, ভেঙে ফেলা, শত্রুদের প্রচারে জনমতকে প্রভাবিত করতে দেওয়া যাবে না। কোমের জনগণ সেদিন (১৩৫৬ সালের ১৯ দেই) এ কাজটাই করেছিল।

ইরান কেন ইউরোপীয়দের সাথে আলোচনা করে এবং সম্পর্ক রাখে, কিন্তু আমেরিকার সাথে যোগাযোগ রাখতে কিংবা আলোচনা করতেও ইচ্ছুক নয়-যারা এরকম প্রশ্ন তোলে তাদের প্রতি আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর জবাব হলো: আমেরিকা এই দেশটির দখল নিয়েছিল, এখন দেশটি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে; তাই তারা এই দেশ এবং ইসলামি বিপ্লবের প্রতি তারা ভীষণ ক্ষুব্ধ। এতো সহজে তারা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য হাল ছেড়ে দিতে রাজি না। আমেরিকা ইরানে ব্যর্থ হয়েছে ওই ব্যর্থতা পূরণের চেষ্টা করছে তারা।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সক্রিয়দের সাম্প্রতিক প্রদর্শনী, যে প্রদর্শনী প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়নও পরিদর্শন করেছিলেন, সেখানে দেখানো হয়েছে ৮ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সব ক্ষেত্রেই আমাদের আশাবাদী হতে হবে। চেষ্টা-প্রচেষ্টাও চালাতে হবে, আশাবাদও লালন করতে হবে।

যারা দায়িত্ব রয়েছেন এবং নীতি নির্ধারক রয়েছেন আমেরিকা ও ইহুদিবাদীদের দাবি কিংবা অবস্থান কোনোভাবেই তাদের বিবেচনা করা উচিত নয়। ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং এই দখলদারদের প্রতি আমেরিকার সমর্থনের ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের স্পষ্ট ও সাহসী অবস্থানের প্রশংসা করেছেন আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী। ।

সর্বোচ্চ নেতা বলেন: আমাদের দেশের কর্মকর্তারা যদি বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকার অযৌক্তিক দাবির কথা শোনে কিংবা তাদের স্বার্থ বিবেচনা করে, তাহলে তারা দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেললো।

তিনি আরও বলেন: প্রতিরোধ জীবিত আছে এবং জীবিত থাকতে হবে। প্রতিরোধকে ধীরে ধীরে আরও শক্তিশালী হতে হবে। আমরা প্রতিরোধকে সমর্থন করি, গাজার প্রতিরোধ, পশ্চিম তীরের প্রতিরোধ, লেবাননের প্রতিরোধ, ইয়েমেনের প্রতিরোধ, এককথায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি খবিসদের বিদ্বেষপূর্ণ যে-কোনো অপরাধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যারাই প্রতিরোধ করবে, মোকাবেলা করবে আমরা তাদেরকেই সমর্থন করবো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়