শিরোনাম
◈ সাংবাদিকদের অব্যাহতি প্রসঙ্গে সময় টিভির নিজস্ব বক্তব্য ◈ সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী হওয়ায় ভারতে বন্দি ছিলেন সুখরঞ্জন বালি ◈ ফেনী শহরে ১৫টি কুকুরকে ৩ মাস খাওয়ানোর শর্তে আসামির মুক্তি ◈ আমাদের আর বসে থাকার সুযোগ নেই, আসুন প্রতিবাদ করি প্রতিরোধ করি : নানক (ভিডিও) ◈ এক যুগ পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ, ঢাকায় ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি ◈ সচিবালয়ে সাংবাদিকসহ বেসরকারি সবার ‘প্রবেশ পাস’ বাতিল ◈ মনমোহন সিং পাকিস্তানে নিজের গ্রামে কেন আর ফিরে যাননি ◈ এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করা দরকার, যেখানে জবাবদিহি হবে প্রাথমিক ভিত্তি: আলী রীয়াজ ◈ অভিযোগের বিষয়ে ‘এএফপি ও বিবিসি’ কে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ, যেসব দাবি জানান ◈ যে ২৫ এলাকায় শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না

প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৩০ দুপুর
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

মনমোহন সিং ছিলেন ভারতের অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার

এল আর বাদল: বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। প্রধানমন্ত্রী পদে তারই উত্তরসূরি, দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে টুইট করে এ খবর জানিয়েছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তার স্ত্রী গুরচরণ সিং এবং তিন কন্যা আছেন।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার কিছুক্ষণ আগেই দিল্লির এইমস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ড. সিং এদিন সন্ধ্যায় বাড়িতেই অজ্ঞান হয়ে যান। বাড়িতেই তার জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। পরে এইমস হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয় মনমোহন সিংকে। সূত্র- বিবিসি বাংলা

সব প্রচেষ্টা করা সত্ত্বেও তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনা যায় নি এবং রাত নয়টা ৫১ মিনিটে তিনি মারা গেছেন," এইমস হাসপাতালের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. রিমা ডাডার সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

ড. মনমোহন সিং ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল – এই ১০ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এর আগে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ভারতের অর্থ মন্ত্রী। সেই সময়েই ভারতের অর্থনীতির উদারীকরণের যে পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাও, সেটির বাস্তবায়ন করেছিলেন পেশা ও শিক্ষায় অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং।

অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার-
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে মনমোহন সিং খুব ভাল করেই জানতেন যে তিনি রাজনীতিবিদ নন। তার কথায়, একজন রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা যায়, কিন্তু সেটা হতে হলে তো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভোটে জিততে হবে।

ভারতের সংসদের নি¤œ-কক্ষ লোকসভার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন ১৯৯৯ সালে। কিন্তু হেরে যান তিনি। এরপরে উচ্চ-কক্ষ রাজ্যসভার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন আসাম থেকে।

এরপর এল ২০০৪ সালের নির্বাচন। কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল, কিন্তু কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী পদ নিতে অস্বীকার করলেন।

সম্ভবত তিনি যেহেতু জন্মসূত্রে ইতালিয়, তাই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হতে পারে, এটা ভেবেই সম্ভবত তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান নি।

সমালোচকরা এও বলে থাকেন যে মনমোহন সিংয়ের প্রধানমন্ত্রীত্বের সময়কালে সোনিয়া গান্ধীই ছিলেন আসল ক্ষমতার উৎস। ড. সিংয়ের নিজের কোনও ক্ষমতাই ছিল না বলে মনে করেন সমালোচকরা।

দুর্বলতম প্রধানমন্ত্রী -
বিজেপির নেতা ও ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আদভানি একবার মনমোহন সিংকে দেশের 'দুর্বলতম প্রধানমন্ত্রী' হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।

জবাবে ড. সিং বলেছিলেন যে তার সরকার যে "অঙ্গীকার করেছিল, সেসব পূরণ করতে এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণে সর্বতো ভাবে নিজেদের উজার করে দিয়েছে।

তবে, তার দ্বিতীয় দফার প্রধানমন্ত্রীত্বের সময়ে আগেকার সাফল্যগুলি প্রশ্নবিদ্ধ হতে থাকে। তার মন্ত্রীসভার সদস্যরা একের পর এক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হতে থাকেন।

সেই সব কথিত দুর্নীতির পরিমাণ লক্ষ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছয়। বিরোধীরা স্তব্ধ করে দেয় পার্লামেন্টের কাজকর্ম। ফলে দেশটির অর্থনৈতিক ঊর্ধ্বগতি কিছুটা থমকে যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়