শিরোনাম
◈ আমার চাকরি আসলে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস ◈ তুরাগ নদীর  সেতু ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক পানিতে ◈ হাইকোর্টে উপদেষ্টা হাসান আরিফের জানাজা অনুষ্ঠিত ◈ জার্মানিতে গাড়ি চালিয়ে সৌদি নাগরিকের হামলা, বহু হতাহত ◈ বনানী বস্তির আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ◈ ঢালাও মামলা, দেশে-বিদেশে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি আ.লীগের ◈ ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে রোববার দেশে ফিরছে ১২ ক্রিকেটার, বাকিরা সোমবার ◈ বিসিবি আমাকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দিলে আমি নিতে প্রস্তুত: লিটন দাস ◈ বাংলাদেশে হিন্দুদের জন্য ভারতের আসলে কতদূর কী করার আছে? ◈ ভারতে পাচার হওয়া ১৫ নারী, শিশুকে ট্রাভেল পারমিটে ফেরত

প্রকাশিত : ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:০৩ সকাল
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারীরা ফুলের মত বললেন , কাজের লোক নয়: খামেনেয়ী

রাশিদ রিয়াজ: ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর  জাতিসংঘে নারী অধিকার বিল গ্রহণ করা হয়েছিল। তার ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত কাল সমাজে মেয়েদের ভূমিকা নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডলে একের পর এক পোস্ট করেন ইরানের আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী। নারীর অধিকার আমাদের সমাজে কি পশ্চিমা সমাজে কতটা এসেছে তা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ! নারী স্বাধীনতার নামে নারীকে পণ্য বানানো হয়েছে। নারী নির্যাতন আগের চেয়ে বেড়েছে, নারী সক্ষমতা পেলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি সামাজিকভাবে। কারণ নারীকে ভোগের সামগ্রী হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে ইরানের ধর্মীয় নেতা খামেনেয়ী বলেছেন, মেয়েরা ‘ফুলের মতো’। হিজাব-বিতর্কের মাঝে স্পষ্ট করে দিলেন তিনি নারীর অবস্থান। গোটা ইরান জুড়ে যখন হিজাব-বিরোধী আন্দোলন চলছে, সে সময়ে খামেনেয়ীর এই ‘ফুলের মতো’ মন্তব্য সমাজমাধ্যমে ঝড় তুলেছে। উঠে এসেছে মাহসা আমিনির প্রসঙ্গে। হিজাব না-পরার ‘অপাধে’ ২২ বছরের তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নীতি-পুলিশ। সংশোধনাগাওে অসুস্থ হয়ে প্রাণ হারান আমিনি। খামেনেয়ীর পোস্টের পরে এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে ইসরায়েলের সরকারি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে খামেনেয়ীর পোস্টের নীচে একটি কালো হিজাব পরা তরুণীর ছবি পোস্ট করা হয়। ওই একটি ছবিই যথেষ্ট। কারণ সে ছবি আমিনির। এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে আমিনির পক্ষে আন্দোলনের নামে ইরানে যে অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে তার পেছনে রয়েছে ইসরায়েল। 

ইরানে বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা হিজাব-বিরোধী আন্দোলন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাদের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আমিনির মৃত্যুর পরে আন্দোলন আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিল। সে সময়ে আরও কড়া হিজাব আইন আনা হয়। ঘোষণা করা হয়, প্রকাশ্য স্থানে হিজাব না পরলে কঠিন শাস্তি। কিন্তু তাতেও আন্দোলনের মুখে নতি স্বীকার করেনি ইরান সরকার। পরিণতি কী হবে জানা সত্ত্বেও সম্প্রতি এক ইরানি গায়িকা পারাসতু আহমাদি হিজাব ছাড়া পশ্চিমি পোশাকে একটি অনলাইন কনসার্টে যোগ দেন। তাঁকে ও তাঁর সঙ্গী বাদ্যযন্ত্র-শিল্পীদের গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তাতেও সে দিন গায়িকার স্বাধীনতার দাবি এড়িয়ে যেতে পারেনি কেউ। কনসার্টে আহমাদি বলেছিলেন, ‘‘আমি একটি মেয়ে, যে ভালবাসার মানুষগুলোর জন্য গান গাইতে চাই। এটা আমার অধিকার, সেটা উপেক্ষা করা যায় না।’’ সম্প্রতি ইরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক নারী স্বাধীনতার নামে অর্ধনগ্ন হয়ে হাঁটতে থাকেন। নারীর স্বাধীনতা মানে তার ইচ্ছে মত চলাফেরা নয়। পশ্চিমা মিডিয়াগুলো এধরনের বিভ্রান্তিকে স্বাধীনতা নামে অধিকার হিসেবে তুলে ধরে। 

মেয়েদের কর্মক্ষেত্রে অংশ নেওয়া নিয়েও নিজের আপত্তি প্রকাশ করেছেন খামেনেয়ী। তিনি লিখেছেন, ‘এক জন মহিলা হলেন একটি নরম ফুলের মতো। বাড়ির কাজের লোক নন। তাঁকে ফুলের মতোই দেখা উচিত বাড়িতে। একটি ফুলের যত্ন নেওয়া উচিত। তার সতেজ ভাব, মিষ্টি সুবাস পায় সকলে, বাতাসে সুগন্ধীর মতো ভাসে।’ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা লিখেছেন, ‘প্রায় এক শতক আগে (ইউরোপে), ওরা বলেছিল, মেয়েদেরও আর্থিক স্বাধীনতা থাকা উচিত। বিষয়টা উপর থেকে দেখলে ভাল লাগে। কিন্তু এর গভীরে কোন সত্য লুকিয়ে রয়েছে? ওদের কারখানায় শ্রমিক প্রয়োজন। ওরা মেয়েদের শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগাতে চায়। আর পুরুষদের থেকে কম পারিশ্রমিক দিতে চায়।’

খামেনেয়ী আরও লিখেছেন, ‘পরিবারে মহিলা ও পুরুষদের ভূমিকা ভিন্ন। যেমন, কোনও পুরুষের দায়িত্ব পরিবারের ব্যয়ভার সামলানো। মহিলার দায়িত্ব সন্তানকে মানুষ করা। এর মধ্যে কোনও কাজ ছোটবড় নয়। দু’টো আলাদা গুণ। আর এর উপর ভিত্তি করে নারী ও পুরুষের অধিকার বিচার করা যায় না।’ 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়