স্বামীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে তার অফিসের সহকর্মী তরুণীকে কুপিয়ে খুন করলেন স্ত্রী। এ ঘটনায় আহত হয় আরও একজন। ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের। অভিযুক্ত নারীকে পালানোর চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জবলপুরের প্রফেসর কলোনি এলাকার ঘটনা এটি। গ্রেপ্তার নারীর নাম শিখা মিশ্র। ৩৫ বছর বয়সী শিখা স্বামীর অফিসের এক কর্মীকে খুন করেন বলে অভিযোগ। মৃত তরুণীর নাম অনিকা মিশ্র।
শিখার স্বামী একটি নির্মাণসংস্থা চালাতেন। সেখানেই কাজ করতেন অনিকা। শিখার সন্দেহ হয়, অনিকা তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছে। বুধবার অনিকাকে ফোন করে দেখা করতে চান শিখা। তাদের ঘনিষ্ঠ একজনের বাড়িতে দুজনের দেখা হয়। সেখানে অনিকাকে পরকীয়ায় অভিযুক্ত করলে দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ঝামেলার মাঝে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অনিকাকে আঘাত করেন শিখা।
যার বাড়িতে দুজনের ঝামেলা হচ্ছিল, সেই সোনম হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বাধা দিলে তাকেও কোপ মারেন অভিযুক্ত। অনিকা ঘটনাস্থলেই মারা যান। সোনমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সাতনা স্টেশন থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরেক রাজ্যে পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শিখার স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :