বাংলাদেশে অশান্তি বিরাজ করছে দাবি করে এবার বড় আশঙ্কার কথা প্রকাশ করলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল এই খবর জানিয়েছে।
অধীর মনে করেন, বাংলাদেশে সরকারিভাবে মৌলবাদকে মাথাচাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলাগুলোতেও। এটি এখনই বন্ধ না করা গেলে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গ নিয়েও টানাটানি শুরু হয়ে যেতে পারে।
অধীরের আশঙ্কা, পরিস্থিতি চলমান থাকলে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, চব্বিশ পরগনার মতো মুসলিম প্রধান এলাকাগুলোকে বাংলাদেশ নিজের অংশ হিসেবে দাবি করবে।
এ অবস্থায় রাজ্য এবং কেন্দ্রকে কঠোর পদক্ষেপের আরজি জানিয়েছেন অধীর। তিনি বলেছেন, ‘আর ঠুনকো রাজনীতি করবেন না। পশ্চিমবঙ্গ শেষ হয়ে যাবে। দেশ শেষ হয়ে যাবে। এগুলো ক্যানসারের লক্ষ্মণ। তাই এই বিষয়ে এখনই সিরিয়াস পদক্ষেপ করা উচিত।’
অধীরের অভিযোগ, সম্প্রতি তিনি মৌলবাদীদের কৌশল নিয়ে কথা বলেছিলেন। কিন্তু কিছু কিছু মিডিয়া তাঁর কথাকে বিকৃত করে প্রচারের চেষ্টা করছে।
অধীর বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশের মৌলবাদীরা যদি প্রশ্রয় পায়, ক্ষমতার স্বাদ পায় তাহলে পশ্চিমবঙ্গের দিকে হাত বাড়াবে। বাংলার মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দিনাজপুরে মুসলিমেরা সংখ্যাগুরু। মুর্শিদাবাদে ৭০ শতাংশ মুসলিম বসবাস করে। এরা আগামীদিনে এই এলাকাগুলোকে বাংলাদেশের অতিরিক্ত অংশ হিসেবে দাবি করবে।’
অধীর আরও বলেন, ‘আমি এ কথা বলছি, কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ইরাক, সিরিয়ার জন্ম নিয়েছিল আইএস। তাঁদের লক্ষ্য সাম্রাজ্য বাড়ানো। তাঁরা খালিফ বলে দাবি করছে। অথচ ইসলামে এমন কোনো কথা বলা নেই। এটা মৌলবাদের চরিত্র। মৌলবাদীদের এখনই রোখা না গেলে এরা এখন যেমন উত্তর পূর্ব নিয়ে দাবি করছে, আগামী দিনে বাংলারও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলাগুলোকে বাংলাদেশের অঙ্গ হিসেবে দাবি করবে।’
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের প্রাক্তন এই সভাপতি এটাও মনে করিয়েছেন, দেশ স্বাধীনের দুই দিন পর মুর্শিদাবাদ স্বাধীন হয়েছিল। তখনো মৌলবাদীরা দাবি করেছিল, মুর্শিদাবাদ পাকিস্তানের অংশ। আজও মুর্শিদাবাদে মুসলিমেরা সংখ্যায় বেশি। মৌলবাদ মাথা চাড়া দিলে দেশ স্বাধীনের সেই পরিস্থিতি আবারও ফিরতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :