শিক্ষিকাদের ওয়াশরুমে স্পাই ক্যামেরা বসানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন স্কুলেরই মালিক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের নয়ডার সেক্টর ৭০ এলাকায়। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১০ ডিসেম্বর স্কুলের ওয়াশরুমে গিয়ে একটি বাল্ব সকেটের দিকে চোখ যায় এক শিক্ষিকার। সেখান থেকে ক্ষীণ আলো আসছিল। কৌতূহল হয়ে তিনি জিনিসটি হাতে নিয়ে দেখেন তাতে একটি ছোট্ট ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তিনি স্কুলের নিরাপত্তাকর্মীদের জানান। ওই নিরাপত্তাকর্মীরাও নিশ্চিত করেন জিনিসটি ক্যামেরা। এর পর ওই শিক্ষিকা যান স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু তার অভিযোগ শোনার পরেও স্কুলের পরিচালক নবনীশ সহায় কোনো পদক্ষেপ নেননি। অভিযোগ শোনে উল্টো ওই শিক্ষিকার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই শিক্ষিকা কোনো সমাধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশের তদন্তে বের হয়ে আসে স্কুলের পরিচালক নবনীশের কর্মকাণ্ড।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্কুল মালিক স্বীকার করেছেন, শিক্ষিকাদের ওয়াশরুমে ক্যামেরা বসিয়েছেন তিনিই। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ২২ হাজার টাকা দিয়ে স্পাই ক্যামেরা কিনেছিলেন। বিশেষ ওই ক্যামেরাটি একটি বাল্ব হোল্ডারের সঙ্গে সংযুক্ত। এক বার নজর দিয়ে বোঝা যাবে না। নবনীশ ওই ক্যামেরা দিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং ফুটেজ সংগ্রহ করতেন। শিক্ষিকাদের ওয়াশরুমে গেলে তার দৃশ্য দেখতেন মোবাইল এবং ল্যাপটপে। পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওই শিক্ষিকার দাবি, এ বারই প্রথম নয়, এর আগেও স্কুলের ওয়াশরুমে একটি ছোট ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। সে বারও তিনি ক্যামেরাটি খুলে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনকি কোথা থেকে ওই ক্যামেরা এল, কে ক্যামেরাটি বসালেন, তার কোনও খোঁজই নেননি কর্তৃপক্ষ। আপাতত তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :