ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ডবাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, চূড়ান্ত পরিণতিতে সিরিয়া বিদেশি দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হবে। রোববার এক অনুষ্ঠানের দেয়া বক্তৃতায় জেনারেল সালামি এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতো বিদেশী শক্তিগুলো আজ সিরিয়াকে ছিড়ে টুকরো টুকরো করতে চাইছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে তৎপর রয়েছে ইহুদিবাদীরা এবং উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে অন্যরা।
জেনারেল সালামি বলেন, "ইহুদিবাদীরা দামেস্কের পরিবারগুলোর ভিতরে খালি চোখে দেখতে পাচ্ছে; এটি সত্যিই অসহনীয়। আমাদের দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে, যেমন আমাদের প্রিয় নেতা বলেছেন, আল্লাহর রহমতে সিরিয়া তার শক্তিশালী এবং অভিজ্ঞ যুবকদের হাতে মুক্ত হবে।"
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী চলতি সপ্তাহে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, সিরিয়ার যুবকরা অবশেষে তাদের দেশকে দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করবে। গত বুধবারের ওই বক্তব্যে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, সিরিয়ার তরুণরা জেগে উঠবে, প্রতিরোধ করবে, ত্যাগ স্বীকার করবে এবং ইরাকের মতো পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবে। এটা ঘটবে, এ নিয়ে সন্দেহ করবেন না।"
জেনারেল সালামি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইহুদিবাদীদেরকে সিরিয়ায় তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে। তাদের এই ভূমিতে কবর দেয়া হবে, তবে এর জন্য কিছু সময় লাগবে।"
আইআরজিসি’র প্রধান কমান্ডার আরো উল্লেখ করেছেন, ইরানের সামরিক উপদেষ্টারা সিরিয় নাগরিকদের মর্যাদা রক্ষার জন্য সিরিয়ায় গিয়েছিলেন, কোনো ভূমি দখল বা উচ্চাভিলাষী স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নয়। তিনি বলেন, সিরিয়ায় ইরানের উপদেষ্টাদের উপস্থিতির সময় দেশটির জনগণ একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করেছিল।
গত ২৭ নভেম্বর বিদেশি মদদপুষ্ট বিদ্রোহীরা হায়াতে তাহরির আশ-শামের নেতৃত্বে সিরিয়ায় অভিযান শুরু করে। দুই সপ্তাহের তাণ্ডবের মধ্য দিয়ে তারা রাজধানী দামেস্ক দখল করে নেয় এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়। এর পরপরই ইহুদিবাদী ইসরাইল পুরো সিরিয়ায় সামরিক অবস্থানে ব্যাপক হামলা চালায় এবং বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নেয়। সিরিয়ার এই গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং আঞ্চলিক কয়েকটি দেশ সুবিধা নিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :