শীতকাল মানেই তো একটু ঘুরে বেড়ানোর সময়। শীতের রোদ গায়ে মেখে ঘুরে বেড়ানো। আর এই সময় ডুয়ার্সে বেড়ানোর মজাই আলাদা। এদিকে প্রতিবারই এই সময় প্রচুর বাংলাদেশি আসেন ডুয়ার্সে। মূলত জয়ন্তী, বক্সা, জলদাপাড়া, চিলাপাতায় বেড়াতে আসেন তাঁরা। কিন্তু এবার এলে থাকবেন কোথায়? বাংলাদেশিদের অনেকের কাছেই এর জবাব নেই। কারণ এবার আলিপুরদুয়ারের হোটেল অ্যাসোসিয়েশনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা বাংলাদেশিদের হোটেল ভাড়া দেবেন না।
ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান করেছেন যারা তাঁদেরকে হোটেলে থাকতে দেবেন না। সিদ্ধান্ত নিল আলিপুরদুয়ারের হোটেল
তাঁরা জানিয়েছেন আমাদের মধ্য়ে যে ভ্রাতৃত্ববোধটা ছিল সেটা যেন বজায় থাকে। আমরা তাদের যেমন সম্মান করি সেই সম্মানটা আমরাও যেন পাই। আমাদের দেশের সম্মান সবথেকে বেশি। যেখানে রাষ্ট্রের সম্মান সবার আগে। জাতীয় পতাকাকে ওরা অপমান করেছে। সেকারণে আমরা আপাতত বাংলাদেশি পর্যটকদের বয়কট করছি। আমাদের সম্মান ফিরে পেলে আমরা বিবেচনা করব। ছোট বড় মাঝারি নিয়ে আমাদের ৩০টা হোটেল আছে। আলিপুরদুয়ার হোটেল অ্যান্ড রিসর্ট ওনার্সদের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন দেশ সবার আগে। তারপর অন্য কিছু। আর্থিক ক্ষতি হবে একথা জেনেও তাঁরা এই রাস্তায় হাঁটলেন।
প্রসঙ্গত এর আগে শিলিগুড়ি ও মালদহের হোটেল মালিকরা একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার একই পথে হাঁটলেন আলিপুরদুয়ারের হোটেল মালিকরাও।
পর্যটনের জন্য় দেশে বিদেশে নাম আলিপুরদুয়ারে। ডুয়ার্সের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন বাংলাদেশিরাও। এখানকার হাতি সাফারির প্রতি বাড়তি টান রয়েছে তাদের। বেশ কয়েকদিন এখানে কাটিয়ে যান তাঁরা। তবে এবার কিন্তু আর হোটেল মিলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
এদিকে শীতের দিনগুলোতে পর্যটকদের ঢল নামে ডুয়ার্সে। প্রচুর বাংলাদেশি প্রতিবছর আসেন এখানে। তবে এবার বাংলাদেশি পর্যটকদের বয়কট করা হল।
গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্য়াসোসিয়েশনের তরফে সম্প্রতি এনিয়ে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, দার্জিলিং কমিশনারেট অন্তর্গত যে হোটেল আছে ও তার বাইরেও যে হোটেল রয়েছে তাদের মধ্যে এনিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তারপর এনিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে প্রায় ৯০ শতাংশের উপর হোটেল মালিক বাংলাদেশিদের হোটেলে থাকতে না দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তারপরই এই সিদ্ধান্ত।
আপনার মতামত লিখুন :