৪ হাজার টনের বেশি তেল নিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে কৃষ্ণ সাগরে ডুবে গেছে রাশিয়ার দুটি জাহাজ। এতে পরিবেশগত বিপর্যয়ের হুমকি তৈরি হয়েছে।
সংবাদমাধ্য দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
রুশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার (১৫ই ডিসেম্বর) একটি বড় ঢেউয়ের আঘাতে কার্গো জাহাজ ভলগোনেফ-২১২ দুই টুকরো হয়ে যায়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে জাহাজের সামনের অংশ পানিতে তলিয়ে আছে। রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়া থেকে ৫ মাইল দূরে পূর্ব উপকূলে জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে এ ঘটনা ঘটে।
ট্যাঙ্কারটি মাজুদ নামে পরিচিত। এতে ৪ হাজার ৩০০টন নিম্ন মানের ভারী জ্বালানি ছিল। দুর্ঘটনার পরই রাশিয়ার জরুরি সেবা উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। যেখানে ট্যাকবোট এবং মিলি মি-৮ হেলিকপ্টার যোগ দিয়েছে। ওই জাহাজটিতে ১৩ জন ক্রু ছিল।
এ ঘটনার পরই ভরগোনেফ-২৩৯ নামের আরও একটি জাহাজ একই এলাকায় দুর্ঘটনার মুখে পড়বে। ওই জাহাজটিতে ৪ টন জ্বালানি তেল ছিল। জাহাজটি পুরোপুরি ডুবে গেছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে আরেকটি জাহাজ পাঠানো হয়েছে। একজন নাবিক ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকা একটি নৌকা থেকে জাহাজ ডুবির চিত্র গ্রহণ করেন।
এমন ঘটনাকে রাশিয়ার বেপরোয়া আচরণের সঙ্গে তুলনা করেছে ইউক্রেন। দেশটির নৌবাহিনীর মুখপাত্র দিমিত্র প্লেটেনচুক বলেন, রাশিয়ার ওই ট্যাঙ্কারগুলো বেশ পুরনো। ঝড়ের সময় এগুলা নিয়ে সমুদ্রে যাওয়া সম্ভব নয়। রাশিয়া নৌ আইন লঙ্ঘন করেছে। ফলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে সরকারিভাবে একটি ওয়ার্কিং দল গঠন করেছেন। এছাড়া তিনি পরিবেশ এবং জ্বালানি মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :