শিরোনাম
◈ গিয়াস উদ্দিন তাহেরিকে গ্রেফতার করতে অভিযান, পুলিশের গাড়ি ভাংচুর, আটক ৬ ◈ (১৫ ডিসেম্বর) ডলার-ইউরোসহ বৈদেশিক মুদ্রার আজকের এক্সচেঞ্জ রেট ◈ পৃথিবীতে সম্ভবত ড. ইউনূসই একমাত্র নেতা, যার এত যোগ্যতা: পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট  ◈ সাকিব আল হাসানকে দুই বছর আগেই জরিমানা করা উচিত ছিল: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ◈ ৬ বছর পর রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে স্বশরীরে যোগ দিচ্ছেন খালেদা জিয়া ◈ ৫ দাবীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান, বেকায়দায় সচিব ◈ সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে পারছে না : রিজভী ◈ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মীদের বিক্ষোভ, কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ডিজি ◈ সোমবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে আপাতত কমিশন গঠন করছে না সরকার: হাইকোর্টকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:৫৬ সকাল
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:২২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের হরিয়ানায় কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা

ভারতের হরিয়ানা ও পাঞ্জাব রাজ্যের মধ্যবর্তী শম্ভু অঞ্চলে আন্দোলনরত কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি চার বছরেও পূরণ না হওয়ায় দাবি আদায়ে কৃষকেরা ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। তবে পুলিশের বাধায় শেষ পর্যন্ত আজ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন কৃষকেরা।

শনিবার কৃষকেরা দুপুর ১২টা নাগাদ পাঞ্জাব থেকে তাঁদের পদযাত্রা শুরু করে শম্ভু সীমান্তে পৌঁছেন। সেখানে তাঁদের আটকাতে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা সরকারের পুলিশ মোতায়েন ছিল। সেখানে আম্বালার ডেপুটি কমিশনার পার্থ গুপ্ত এবং পুলিশ সুপার এস এস ভোরিয়া উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট কৃষকদের আলোচনা হয়। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাঁরা দিল্লি থেকে অনুমতির অপেক্ষা করছেন, যাতে কৃষকদের দিল্লির দিকে যেতে দেওয়া যায়।

কিছুক্ষণ আলাপ–আলোচনার পর কৃষকেরা এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং জল কামান ছুড়তে শুরু করে। এর জেরে বেশ কিছু কৃষক আহত হয়েছেন বলে ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে।

চলতি ডিসেম্বরের গোড়া থেকে প্রধানত দুটি কৃষক সংগঠন সংযুক্ত কিষান মোর্চা (অরাজনৈতিক) এবং কিষান মজদুর মোর্চার নেতৃত্বে কৃষকেরা এই নিয়ে তৃতীয়বার তাঁদের দাবি নিয়ে দিল্লি যাওয়ার চেষ্টা করলেন। প্রথমবার তাঁরা চেষ্টা করেন ৬ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয়বার ৮ ডিসেম্বর। তারপর আজ শনিবার আবার তাঁরা এই চেষ্টা শুরু করলেন।

এর আগে, ২০২০-২১ সালে কৃষকেরা দিল্লি অবরোধ করেছিলেন। তখন কৃষকদের প্রধান বক্তব্য ছিল, বেসরকারি মালিকানাধীন বৃহৎ ব্যবসায়িক সংস্থার পুঁজিকে কৃষিক্ষেত্রে ঢালাওভাবে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না। কৃষি বিল এনে কেন্দ্রীয় সরকার সেই চেষ্টা করেছিল, যার বিরোধিতা করেছিলেন কৃষকেরা। সে সময়ে কৃষকদের সেই দাবি মানতে বাধ্য হয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার।

এবার আন্দোলনে কৃষকদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া প্রধান প্রতিশ্রুতিগুলো গত চার বছরেও পূরণ হয়নি। এর মধ্যে প্রধান দাবি ছিল, মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস (ন্যূনতম সমর্থন মূল্য–এমএসপি); অর্থাৎ কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে কৃষিপণ্যের একটি ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করা এবং সেই অর্থ দিয়ে কৃষিপণ্য কৃষকদের কাছ থেকে সরকারের কিনে নেওয়া। তবে কোনো সাধারণ চুক্তি করলে হবে না। কৃষকদের দাবি, আইন মোতাবেক এই চুক্তি করতে হবে, যাতে কোনো সরকার ভবিষ্যতে বলতে না পারে যে তারা ন্যূনতম নির্ধারিত মূল্যে কৃষিপণ্য কিনবে না। সরকার এই চুক্তিতে যেতে নারাজ। ফলে আবার নতুন করে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছে উত্তর ভারতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়