শিরোনাম
◈ বাংলাদেশে লোকালয়ে শিয়ালের আক্রমণ বাড়ছে! ◈ প্রতিবন্ধীরা একা নন, একসঙ্গে কাজ করে আমরা একটি সমাজ গড়ে তুলতে চাই : তারেক রহমান  ◈ যে কারণে রুশ সেনাবাহিনীতে ভারতীয় রয়েছেন জানালেন মোদি সরকার ◈ ক্রমাগত বন্ধু হারাচ্ছে ভারত, বাড়ছে শত্রু ◈ জুনিয়র মহিলা এশিয়া কাপ হকি, শ্রীলঙ্কাকে ৮ গোলে হারালো বাংলাদশ ◈ কুমিল্লা স্টেডিয়ামে আবাহনীকে ১-০ গোলে হারালো মোহামেডান ◈ সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন, র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ ◈ ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়াতে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হচ্ছে: আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ◈ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কী বিপদে পড়েছিলেন আসিফ নজরুল?(ভিডিও) ◈ নেকাব না খোলায় পরীক্ষা দিতে দেয়নি অধ্যক্ষ, অভিযোগ ছাত্রীর

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:৫৫ দুপুর
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানের ৬০ কোটি ডলারের ঋণ যে কারনে বাতিল করল বিশ্বব্যাংক

পাকিস্তানের জাতীয় বাজেটের উন্নয়ন খাতের জন্য দেশটির সরকারকে যে ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক, তার দ্বিতীয় কিস্তি বাতিল হয়ে গেছে। এর ফলে ৬০ কোটি ডলারের ঋণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অর্থ সংকটে জর্জরিত দেশটি।

নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বিশ্বের বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থাটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, চলতি অর্থবছরে পাকিস্তানকে আর কোনো প্রকার বাজেট বিষয়ক ঋণ দেওয়া হবে না।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিশ্বব্যাংক যেসব শর্তের সাপেক্ষে পাকিস্তানকে এই ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেসবের কোনটিই পূরণ করতে পারেনি পাকিস্তান সরকার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাংকের এই পদক্ষেপ অর্থ সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানের জন্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে হাজির হয়েছে। কারণ বাজেট বিষয়ক ঋণপ্রাপ্তির পর নতুন আরও ২০০ কোটি ডলার ‍ঋণের জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা ছিল ইসলামাবাদের; কিন্তু বাজেট ঋণ বাতিলের জেরে নতুন ঋণের জন্য আবেদনের পরিকল্পনাও কার্যত ভেস্তে গেল দেশটির।

পাকিস্তানের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি খাত উন্নয়নের জন্য প্রস্তাবিত এই ঋণ প্রদানের কথা ছিল বিশ্বব্যাংক। ২০২১ সালে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার সংক্রান্ত পাকিস্তানের সরকারি প্রকল্প অ্যাফোর্ডেবল অ্যান্ড ক্লিন এনার্জি প্রোগ্রামের (পেস) অনুমোদন দেয় বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি প্রকল্প গড়ে তুলতে প্রাথমিক ভাবে ১০০ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দেয়। সেই ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে ইতোমধ্যে ৪০ কোটি ডলার পেয়েছেও পাকিস্তান। চলতি ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬০ কোটি ডলার আসার কথা ছিল।

তবে দ্বিতীয় কিস্তি প্রদানের আগে ইসলামাবাদকে বেশ কয়েকটি শর্ত দেয় বিশ্বব্যাংক। সেসবের মধ্যে একটি শর্ত ছিল— এই মুহূর্তে পাকিস্তানে যেসব বেসরকারি ও বিদেশি মালিকানাধীন কেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করছে পাকিস্তানের সরকার, সেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাক্ষরিত চুক্তির অনুলিপি যেন বিশ্বব্যাংককে প্রদান করা হয়।

সিপিইসি নামের একটি চুক্তির আওতায় পাকিস্তানে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে চীন। সেই চুক্তি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিল বিশ্বব্যাংক। তবে চীনের আপত্তির কারনে সিপিইসি চুক্তি সম্পর্কিত কোনো তথ্য বিশ্বব্যাংককে প্রদান করেনি ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানে এই মুহূর্তে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৬৫ থেকে ৭০ পাকিস্তানি রুপি। ফলে দরিদ্র তো বটেই, সাধারণ মধ্যবিত্তেরও নাভিশ্বাস উঠছে এই অতিমূল্যের কারণে। দাম কমানোর জন্য ইসলামাবাদ বেসকরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও কোনো ইতিবাচক ফলাফল আসেনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়