হিন্দুস্তান টাইমস: ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশ সফর শেষে ভারতে ফিরে গিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় কমিটিকে জানান, শেখ হাসিনা নিজের ব্যক্তিগত কমিউনিকেশনস ডিভাইস ব্যবহার করে রাজনৈতিক মন্তব্য করেছেন। ভারত সরকার কোনও ভাবে সেই সব মন্তব্যের সঙ্গে যুক্ত নয় বা সেই সব মন্তব্য করার জন্যে কোনও প্ল্যাটফর্মও ভারত সরকার তাকে দেয়নি।
ভারতে বসে হাসিনা ব্যক্তিগত ডিভাইস ব্যবহারের অনুমতি পেলেন কিভাবে? তিনি কি তাহলে বাংলাদেশ বা অন্য কোনো তৃতীয় দেশের ডিভাইস ব্যবহার করছেন যার ওপর ভারতের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই এমন প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে ভারতীয় সচিবের এ বক্তব্যে। নাকি হাসিনার ডিভাইসটি নিয়ন্ত্রণ করছে অন্য কোনো দেশ!
দেশে ফিরে এসে পররাষ্ট্র বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনে বিক্রম মিশ্রি জানান, ভারতে বসে শেখ হাসিনা যে সব রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, তা পছন্দ করছে না ভারত। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, যথাসময়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে, সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।’
এই নিয়ে আসিফ বলেন, ‘ভারতের বিদেশ সচিব যখন বাংলাদেশে এসেছেন, তখন তাঁকে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে এটা বলা হয়েছে - শেখ হাসিনা একজন গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট। তাঁর এই মুহূর্তে বিচার হওয়ার কথা, তাঁর এখন জেলে থাকার কথা। কিন্তু তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। এবং সেখান থেকেই তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি, বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আশা করি এই ধরনের আর কোনও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে ভারত তাঁকে বাধা দেবে।’
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেই থেকে এখানেই আছেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে ভারত থেকে তাঁর কোনও বক্তব্য শোনা যায়নি সেভাবে। তাঁর হয়ে ছেলে ওয়াজেদ সজীব জয় বক্তব্য পেশ করছিলেন। তবে বিগত দিনে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক বিবৃতি দিচ্ছেন ভারতে বসেই। ঢাকায় থাকা ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছেন বিভিন্ন ইস্যুতে। আর এই বিষয়টি নাকি ভারত সরকার পছন্দ করছে না। সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিকে এমনটাই জানালেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। বিক্রমের কথায়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোনও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কের ওপর বেশি জোর রয়েছে ভারতের।
আপনার মতামত লিখুন :