যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তানুসারে ইসরায়েল লেবানন থেকে প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহার করেছে। ইসরায়েল সেনার পরিবর্তে সেখানে লেবাননের সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এ তথ্য জানিয়েছে।
সেন্টকমের নেতা জেনারেল এরিক কুরিলার উদ্ধৃতি দিয়ে সেন্টকমের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শত্রুতার স্থায়ী অবসান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এটি প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সংঘাত বন্ধে এটি ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।’
এদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দক্ষিণাঞ্চলে সেনা মোতায়েনের প্রক্রিয়া শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আজ (বুধবার) খিয়াম ও মারজায়ুন এলাকায় সেনা পাঠানোর বিষয়টি ছিল গুরুত্বপূর্ণ।’
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নাজিব মিকাতি বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীর এই প্রচেষ্টাকে স্যালুট জানাই।’
অপরদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘তাদের ৭ম ব্রিগেড দক্ষিণ লেবাননের খিয়ামে তাদের অভিযান শেষ করেছে।’
সেই সঙ্গে ইসরায়েলি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির সমঝোতা অনুসারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে লেবাননের সেনাদের খিয়াম এলাকায় নিয়ে সেখানে লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনীর (ইউএনএফআইএল) সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে। এই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশন রয়েছে।’
তবে, চলতি বছরের গত ২৭ নভেম্বর উভয় পক্ষের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও উভয় পক্ষই একে অপরের ওপর বারবার এই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছিল।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ৬০ দিনের মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবানন থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। সেখানে লেবাননের সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।
শর্ত অনুসারে হিজবুল্লাহকেও সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তরে লিতানি নদীর উত্তরে তাদের সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে। এমনকি দক্ষিণ লেবাননে তাদের সামরিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলার কথাও শর্তে উল্লেখ করা ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :