বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারে রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিশেষ অভিযান শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সময় বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লি পুলিশের কর্মকর্তারা শহরটির কালিন্দি কুঞ্জ এলাকার বাসিন্দাদের নথি যাচাইয়ের মধ্যে দিয়ে বিশেষ এই অভিযান শুরু হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি) ভি কে সাক্সেনার অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। তার এই নির্দেশের পরদিন দিল্লি পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হয় যা আগামী দুই মাস চলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলজি সাক্সেনার কার্যালয় মঙ্গলবার দিল্লির মুখ্যসচিব ও পুলিশ কমিশনারকে একটি চিঠি দিয়েছে। এতে ভারতের রাজধানীতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এই নির্দেশ পাওয়ার পর বুধবার দিল্লির কালিন্দি কুঞ্জ এলাকায় বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় কাগজ-নথি যাচাইয়ের জন্য পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় সেখানকার বাসিন্দাদের প্রত্যেকের নথিপত্র যাচাই করা হয়।
কয়েক দিন আগে দিল্লির মুসলিম নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল এলজি সাক্সেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দিল্লিতে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এই সমস্যার সমাধানে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান। এসময় তারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন বন্ধে জোর দাবি জানান।
নয়াদিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তারা অবৈধভাবে বসবাসকারীদের শনাক্ত ও অবৈধ উপায়ে পাওয়া তাদের সরকারি নথিপত্র বাতিল এবং বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই অভিযান পরিচালনা করছেন।
তবে দেশটিতে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) সক্রিয় রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রায়ই আফগানিস্তানের বেসামরিক নাগরিক, বিদেশি এবং তালেবান কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে বন্দুক ও বোমা হামলা চালিয়ে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :