মোহাম্মদ আল-বশির একজন সিরিয়ান প্রকৌশলী ও রাজনীতিবিদ। ইতিপূর্বে তিনি সিরিয়ার বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়া দল ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ সংশ্লিষ্ট সালভেশন গভর্নমেন্টের নেতৃত্বে ছিলেন। এই সরকার উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার কিছু অংশ এবং ইদলিবে সীমাবদ্ধ ছিল।
বিদ্রোহীরা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার মোহাম্মদ আল-বাশিরকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এই সরকার আগামী বছরের ১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
সিরিয়ার রাষ্ট্র-পরিচালিত টেলিভিশনের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে বশিরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘সাধারণ কমান্ড আমাদেরকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে।’
জানা গেছে, মোহাম্মদ আল-বশির হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সালভেশন গভর্নমেন্টের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার একটি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে প্রশাসনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বশির ১৯৮৬ সালে ইদলিবের জাবাল যাওইয়া অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৭ সালে আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদ্যুৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশলে ডিগ্রি অর্জন করেন এবং যোগাযোগে বিশেষজ্ঞ হন। ২০১০ সালে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি উন্নত ইংরেজি কোর্স সম্পন্ন করেন।
২০২১ সালে ইদলিব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শরিয়া ও আইন বিষয়ে অনার্সসহ ডিগ্রি অর্জন করেন বশির। তিনি প্রশাসনিক পরিকল্পনা এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
পেশাগত জীবনে তিনি সিরিয়ান গ্যাস কোম্পানির অধীনে একটি গ্যাস প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেছেন।
বশিরের নেতৃত্বে সিরিয়া এখন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা মোকাবিলা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোর পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
বাশার আল-আসাদ গত রোববার রাশিয়ায় আশ্রয় নেওয়ার জন্য পালিয়ে যান। এর মাধ্যমে সিরিয়ায় তাঁর পরিবারের পাঁচ দশকের শাসনের অবসান ঘটে।
আপনার মতামত লিখুন :