এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় আটক করা হয়েছে অন্তত তিনজনকে। পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত স্টেশন সংলগ্ন এলাকার সড়কে লাল সবুজের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এঁকে তা পা দিয়ে মাড়ানোর অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের হাতে আটক বজরং দলের তিন সদস্য আর্য্য দাস, সুবীর দাস, রিপন চ্যাটার্জি। তাদের অভিযোগ বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে তাই ভারতেও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার চেষ্টা হয়েছে।
দু'দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক, জাতীয় মর্যাদা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত। যখন কোনো একটি দেশে অন্য দেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়, এটি কেবল সেই দেশের জন্য নয়, বরং দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি দু' দেশের জনগণের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্বের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
জাতীয় পতাকা একটি দেশের সার্বভৌমত্ব, সম্মান ও গৌরবের উজ্জ্বলতম প্রতীক। এর অবমাননা শুধু একটি দেশ বা তার সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বরং দেশটির নাগরিকদের আবেগ ও মর্যাদার ওপর চূড়ান্ত আঘাত হিসেবে বিবেচিত হয়।
বাংলাদেশের রাজধানীতে যদি ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়, তবে এটি শুধু ভারতের জন্য অপমানজনক নয়, বরং বাংলাদেশের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে পারে। কারণ, এমন কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশও কূটনৈতিক ও সামাজিকভাবে সমালোচিত হতে পারে।
এমন ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। পরস্পরের পতাকার অবমাননার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং গণমাধ্যমে নেতিবাচক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠতে পারে, যা দুই দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করবে। উৎস: চ্যানেল২৪
আপনার মতামত লিখুন :