শিরোনাম
◈ ৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি ◈ বিজি প্রেসের ‘আলামত ধ্বংস’ বিভাগ থেকে ফাঁস হতো প্রশ্ন ◈ শিশুর মরদেহ পড়ে ছিল মাদ্রাসার বাথরুমে, তিন শিক্ষককে আটকের পর যা জানালো পুলিশ ◈ এবার যেসব পরিবর্তন আসছে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ◈ আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার তহবিল হয়েছে : ধর্ম উপদেষ্টা ◈ পূর্ণিমার সাবেক স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া ◈ সারা দেশে আদালত ও আইনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ   ◈ ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর ◈ আমিরাতে বিক্ষোভ করা আরও ৭৫ বাংলাদেশির মুক্তি ◈ ভারতের সামভালে ‘পাথর ছোঁড়ার’ পোস্টার লাগানো হবে

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:২২ দুপুর
আপডেট : ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:২১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের সামভালে ‘পাথর ছোঁড়ার’ পোস্টার লাগানো হবে

দি প্রিন্ট প্রতিবেদন: ভারতের উত্তর প্রদেশের সামভালে মোঘল আমলে নির্মিত শাহী জামা মসজিদের জরিপ নিয়ে সংঘর্ষে যারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়েছে তাদের পোস্টার জনসমক্ষে লাগাবে স্থানীয় রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে সংঘর্ষের সময় যেসব সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে সংগৃহীত বিক্ষোভকারীদের ছবি দেখে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামভাল প্রশাসন ৪২ টিরও বেশি সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করেছে, যাদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি, সহিংসতা-বিধ্বস্ত এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজে তাদের ছবি দেখা গেছে। তাদের কারও কারও হাতে ইট এবং কারও মুখ মুখোশ দিয়ে ঢেকে রাখা ছিল। 

এছাড়া পাবলিক, ক্যামেরা এবং ভিডিও ফুটেজের সাহায্যে মোট ৭৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। মোরাদাবাদ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার অঞ্জনেয়া কুমার সিং মিডিয়াকে বলেছেন, আমরা তাদের ভিডিও এবং ফটোগুলিও জনগণের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়ার জন্য জারি করেছি যাতে তাদের সহজেই সনাক্ত করা যায়।

ভারতে ২০২০ সালের সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের সময়ও ইউপি সরকার এধরনের বিক্ষোভকারীদের নিয়ে পোস্টার লাগিয়েছিল। ২০২০ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভের সময় ভারতে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল তার পরে, ইউপি সরকার রাজধানী লখনউ সহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুরের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পোস্টারও লাগিয়েছিল।

কিন্তু এলাহাবাদ হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে এই ‘নাম এবং লজ্জা’ পোস্টারগুলি সরাতে বলেছিল, এটিকে ভারতীয় সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছিল আদালত। ভারতের হাইকোর্ট ওই ঘটনায় বলেছিল,‘সম্পূর্ণভাবে, আমাদের কোন সন্দেহ নেই যে রাষ্ট্রের পদক্ষেপ, যা এই জনস্বার্থ মামলার বিষয়বস্তু, মানুষের গোপনীয়তায় একটি অযৌক্তিক হস্তক্ষেপ ছাড়া কিছুই নয়।’

এরপর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ কমিশনার, লখনউকে অবিলম্বে রাস্তার ধার থেকে ব্যানারগুলি সরানোর নির্দেশ দেয়। উত্তরপ্রদেশ রাজ্যকে আদালত নির্দেশ দেয়, আইনের কর্তৃত্ব ছাড়াই ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত এই ধরনের ব্যানার রাস্তার ধারে না লাগাতে। তবে এবার উত্তরপ্রদেশ সরকার বলেছে যে তারা গত রোববার শাহী জামা মসজিদের আদালতের নির্দেশিত সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে এবং এসময় সামভালে যেসব সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে আদায় করা হবে। সরকারের একজন মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেছেন যে ‘পাথর ছোড়ার’ পোস্টারগুলি বিশিষ্ট পাবলিক লোকেশনে লাগানো হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়