শিরোনাম
◈ ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ আয়োজকের সঙ্গে বিএনপিনেতাদের সাক্ষাৎ ◈ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মাহবুবউল আলম হানিফের বাড়ি ◈ আহত সারজিস আলম ◈ ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, আজ হচ্ছে 'ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ ◈ ‘বিএনপি কর্মীদের’ হামলায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ৩ সাংবাদিক আহত ◈ পাঁচদিনের ব্যবধানে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা, বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর ◈ আমরা কী করলাম সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ আলজেরিয়ার সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ ◈ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান বাতিলের সুপারিশ

প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:০৩ দুপুর
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফেসবুকে ভাইরাল ‘কম্বল দে’, নেপথ্যে কী? ভিডিও

সংসদে অধিবেশন চলছে। একজন তরুণ সংসদ সদস্য দাঁড়িয়ে প্রতিবাদী কণ্ঠে উচ্চারণ করছেন ‘কা মাতে কা মাতে’। এরপর হাতে থাকা কাগজটি ছিঁড়ে ফেলেন সুঠাম দেহের ওই তরুণী। তার সঙ্গে অন্যরাও কণ্ঠ মেলান। গত কয়েক দিন ধরে নেট দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি ভিডিও ক্লিপ; তাতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

এই ভিডিও ক্লিপ নিয়ে বাংলা ভাষাভাষীর তরুণ-তরুণীরা মিম তৈরি করেছেন। ‘কা মাতে কা মাতে’ শব্দ দুটো দ্রুত লয়ে উচ্চারণ করায় তা শুনতে খানিকটা ‘কম্বল দে কম্বল দে’ মনে হয়। ফলে মিম তৈরিতে ‘কা মাতে কা মাতে’ শব্দের পরিবর্তে তারা ‘কম্বল দে কম্বল দে’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। ঠাট্টা-মশকরা করে তৈরি এসব মিম এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

যে তরুণীর ভিডিও ক্লিপ নিয়ে এত আলোচনা চলছে, তিনি আসলে কে? কেনইবা সংসদে এমন আচরণ করেছেন তিনি? বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সি এই তরুণ রাজনীতিবিদের নাম হানা-রাহিতি মাইপি-ক্লার্ক। তিনি নিউজিল্যান্ডের বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য। ঘটনাটি নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে ঘটেছে।

গত ১৪ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে মাওরি উপজাতিদের নিয়ে একটি বিল উপস্থাপন করা হয়। বিতর্কিত এ বিল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিউজিল্যান্ডের সংসদ সদস্যদের একাংশ। ‘হাকা’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে এর প্রতিবাদ করেন তারা।

নিউজিল্যান্ড ডটকমের তথ্য মতে, ‘হাকা’ গানটি শুরু হয়— ‘কা মাতে, কা মাতে, কা ওরা, কা ওরা’ শব্দ দিয়ে। যার ইংরেজি তরজমা ‘আই ডাই, আই ডাই, আই লাইভ, আই লাইভ।’ যার বাংলা তরজমা দাঁড়ায়, ‘আমি মরি, আমি মরি, আমি বাঁচি, আমি বাঁচি।’

ঐতিহ্যগতভাবে, ‘হাকা’ গান দিয়ে আগত উপজাতিদের স্বাগত জানানো একটি প্রথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধে যাওয়ার সময় যোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করতেও এটি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি দৈহিক শক্তি প্রদর্শন, সাংস্কৃতিক গর্ব এবং ঐক্যের মূর্ত প্রতীক বলেও এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়