ইমরান খানের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ডাকা বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানী ইসলামাবাদ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিক্ষোভকারীরা ডি-চক দখলের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডি-চক থেকে বিক্ষোভকারীদের দূরে রাখতে তাজা গুলিও ব্যবহার শুরু করছে।
ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের বিক্ষোভকারীদের অনেকে গুলতি এবং লাঠি হাতে মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কেউ কেউ তাদের শেষ গন্তব্য ডি-চকে পৌঁছতেও সক্ষম হয়। কিন্তু আধা সামরিক বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ও তাজা বুলেট ছুড়লে ডি-চক ছেড়ে আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিতে বাধ্য হন তারা।
এদিকে বুশরা বিবির নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আশা আন্দোলনকারীদের গাড়িবহর এখনো ডি-চকে পৌঁছতে পারেনি। তবে তারা সেখানকার দখল নিতে অঙ্গীকার করে কয়েক কিলোমিটার দূরে সড়কে অবস্থান করছেন। কিন্তু কেন ডি-চককে ইমরান খান ও তার দলের সমর্থকরা গুরুত্ব দিচ্ছেন?
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খানের প্রধান সহযোগী আলী আমিন গন্ডাপুর ঘোষণা করেছেন- পিটিআইয়ের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ডি-চকে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। তাদের এ কর্মসূচি সফলে এখনও তারা অনড় রয়েছেন। কারণ, ডি-চককে পাকিস্তান সরকারের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র বিবেচনা করা হয়।
ডি-চকের দখল নেওয়ার অর্থ হচ্ছে রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ হাতে পাওয়া। বিক্ষোভকারীরা সেখানে অবস্থান করতে সমর্থ হলে দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের আন্দোলনকারীদের কাছে ডি-চকই আরেকটি গণভবন।
কারণ, ডি-চক ইসলামাবাদের রেড জোনে অবস্থিত। এ এলাকায় প্রধান সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় পরিষদ, সুপ্রিম কোর্ট ও কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে।
এলাকাটি ডেমোক্রেসি চক নামেও উল্লেখ করা হয়। স্থানটি বহু বছর ধরে প্রতিবাদের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর আগেও বিভিন্ন আন্দোলনে ডি-চক দখলের রেওয়াজ পাকিস্তানে চলে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :