শিরোনাম
◈ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অস্থির ঢাকা, শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার ◈ কোনো শিক্ষার্থী নিহত হয়নি, অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ ডিএমপির ◈ শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফেরাতে হবে, না হলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে: মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ ◈ জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ◈ গণতন্ত্রকামীদের সর্তক থাকতে হবে, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা একসাথে যায় না: তারেক রহমান  ◈ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করলেন ডিএমপি কমিশনার ◈ শাহজালাল বিমানবন্দরে ইসকন নেতা চিন্ময় দাস গ্রেপ্তার ◈ লাখ টাকা ঋণ দেয়ার নামে ঢাকায় জমায়েতের চেষ্টা, ফিরিয়ে দিল পুলিশ-শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ মোল্লা কলেজের ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অধ্যক্ষ (ভিডিও) ◈ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নিয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:২৭ দুপুর
আপডেট : ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্ব ১০ বছর পর প্লাস্টিক বর্জ্যের মোকাবিলায় অক্ষম হবে

গার্ডিয়ান প্রতিবেদন: প্লাস্টিক উৎপাদন করছে এমন সব দেশ তা বন্ধ করতে না পারণে প্লাস্টিকের সম্পূর্ণ জীবনচক্র মোকাবেলা করা বিশ্বের পক্ষে আর সম্ভব হবে না। জাতিসংঘে প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে আলোচনার আগে নরওয়েজিয়ান মন্ত্রী অ্যান বিথ টিভিনেরিম বলেন, দেশগুলিকে এখনই প্লাস্টিক উৎপাদন বন্ধ না করলে আগামী এক দশক পরে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আয়ত্বের বাইরে চলে যাবে। বিষয়টি নিয়ে গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্লাস্টিক উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে এটি উৎপাদন বন্ধের ব্যাপারে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। 

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে কোনো দেশ প্লাস্টিক উৎপাদন বন্ধ করলেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না এবং প্লাস্টিক বর্জ্যের নিখুঁত পরিমাণের সাথে ‘মোকাবিলা করতে অক্ষম’ অবস্থায় সকল উৎপাদনকারী দেশগুলোকেই একযোগে তা উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণ রোধে সংকট নিয়ে জাতিসংঘে আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা এমত দিয়েছেন। 

এই সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে প্লাস্টিক বর্জ্যের অবসান ঘটাতে রুয়ান্ডা এবং নরওয়ের নেতৃত্বে ৬০ টিরও বেশি দেশ প্লাস্টিক দূষণকে বন্ধ করতে চাইলেও প্লাস্টিক উৎপাদনকারী দেশগুলো এর সমালোচনা করে একে ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষা’ হিসেবে অভিহিত করে। বুসানে ওই আলোচনায় আয়োজকরা আশা করেছিলেন যে প্রধানত তেল-উৎপাদনকারী দেশগুলি থেকে, প্লাস্টিক উৎপাদন বন্ধের একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে যা সময়ের সাথে সাথে প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে আরো শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে দাঁড়াবে। 

নরওয়েজিয়ান মন্ত্রী অ্যান বিথ টিভিনেরিম আরো বলেন, প্লাস্টিক উৎপাদন বন্ধে এখনই একটি নিখুঁত চুক্তি করতে যাচ্ছি না। কিন্তু আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। উচ্চ উচ্চাকাঙ্ক্ষার জোটভুক্ত দেশগুলির সাথে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে এমন দেশগুলির একটি বড় গোষ্ঠী রয়েছে যারা প্লাস্টিক উৎপাদন বন্ধে উচ্চাকাঙ্ক্ষায় অটল রয়েছে। বিশ্বের এখন নিদারুণভাবে কিছু নেতৃত্ব এবং কিছু সুসংবাদ দরকার।

এই বছর, বিভিন্ন গবেষকরা তাদের পরীক্ষা করা প্ল্যাসেন্টার প্রতিটি নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিক খুঁজে পেয়েছেন; মানুষের ধমনীতে, যেখানে প্লাস্টিক হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের জন্যে কারণ হিসেবে যুক্ত; মানুষের অণ্ডকোষ এবং বীর্যে, প্লাস্টিকের সর্বব্যাপীতার প্রমাণ যোগ করে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। প্লাস্টিক সংকট মানব স্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র এবং জলবায়ুর জন্য হুমকি হিসেবে স্বীকৃত।

প্লাস্টিকের সমগ্র জীবনচক্রকে মোকাবেলা করার জন্য একটি বৈশ্বিক, আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তির জন্য আলোচনার আদেশ গ্রহণের জন্য ১৭৫টি দেশের একটি ঐতিহাসিক চুক্তির দুই বছর পর, প্রতিনিধিরা কী করবেন তা নিয়ে ব্যাপকভাবে বিভক্ত - এবং একটি সময়সীমা ঘনিয়ে আসছে। বিশ্বে ৭১২ বিলিয়ন ডলারের প্লাস্টিক শিল্পে কাটছাঁটের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে এক সারিতে অগ্রগতিও থমকে গেছে। 

প্লাস্টিকের ব্যবহার ২০৬০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী তিনগুণ হতে পারে, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং এশিয়ায় এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি বাড়ছে। যার অর্ধেকই মাটিতে যেয়ে মিশে থাকছে। এবং পঞ্চমাংশেরও কম পুনর্ব্যবহারযোগ্য হিসেবে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী একক ব্যবহারের প্লাস্টিক পণ্যের তালিকার ধারাবাহিকভাবে বন্ধের জন্যে একটি চুক্তি, সেইসাথে প্লাস্টিকের বিষাক্ত রাসায়নিকের উপর নিষেধাজ্ঞা - খাদ্যের সাথে যোগাযোগের প্লাস্টিক এবং শিশুদের খেলনা সহ বিভিন্ন কাজে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্যে প্রচেষ্টা চলছে।

অনেক দেশে ইতিমধ্যে একতরফা একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আবার সৌদি আরব, রাশিয়া এবং ইরানের মতো বৃহৎ জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের দেশগুলিকে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো এড়িয়ে গেছে এবং সংকটের প্রধান সমাধান হিসাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর জোর দিয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলো যারা তাদের অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাকে ছাপিয়ে প্লাস্টিকের অত্যধিক উৎপাদনের পরিণতি বহন করে, তারা বিশ্বব্যাপী এর উৎপাদন কমানোর আহ্বান জানাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে মার্কিন অবস্থানের কারণে আলোচনায় অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে। বৃহত্তম প্লাস্টিক উৎপাদক হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে যে এটি উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে একটি চুক্তিকে সমর্থন করবে। কিন্তু জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ার পর বিষয়টি আর সম্ভব হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আবার চীন ধাপে ধাপে প্লাস্টিক ব্যবহার হ্রাস করছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়