রোহিতাশ কুমার (২৫) নামে একজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য তাঁর ‘লাশ’ চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে জীবিত হন রোহিতাশ! অবিশ্বাস্য এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায়।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, রোহিদাশের পরিবারে কেউ নেই। তিনি ‘মা গ্রাম সংস্থান’ নামে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে বাস করতেন।
গত বৃহস্পতিবার অচেতন অবস্থায় তাঁকে ঝুনঝুনু জেলার ভগবান দাস কেতন (বিডিকে) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে জয়পুরে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানায় পিটিআই।
ওইদিন দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর, পুলিশ একটি সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মৃতদেহ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যায়।
পুলিশি জানায়,৫টার দিকে তাঁকে শ্মশানে নিয়ে আসা হয়। সৎকার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর হঠাৎ তাঁকে শ্বাস নিতে দেখা দেয়। যা শ্মশানে উপস্থিত সবাইকে চমকে দেয়। উপস্থিত লোকেরা তৎক্ষণাৎ অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাঁকে জেলা হাসপাতালে ফিরে নিয়ে যায়। এখন সেখানে তাঁকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় ঝুনঝুনু জেলার কালেক্টর রামাবতার মীনা চিকিৎসায় অবহেলার অবিযোগে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ডা. যোগেশ জাখর, ডা. নবনীত মীল এবং প্রধান মেডিকেল অফিসার (পিএমও) ডা. সন্দীপ পাচারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
রামাবতার মীনা জানান, এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের সচিবকে জানানো হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠেছে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে। কারণ ময়নাতদন্ত হলে, রোহিতাশ কুমারের জীবিত ফিরে আসার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই গোঁজামিল ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :