হিন্দুস্তান টাইমস: ২০২২ সালে দেখা গিয়েছিল একেবারে রেকর্ড সংখ্য়ক ভারতীয় দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। সব মিলিয়ে ৫.৬ লাখ ভারতীয় সেই ওইসিডি দেশগুলিতে গিয়েছেন।
বহু ভারতীয় প্রতিবছরই বিদেশের বিভিন্ন দেশে যান।সেখানেই থাকতে চান তাঁরা। তার জন্য় নানা চেষ্টা চালিয়ে যান সেই ভারতীয়রা। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা সহ একাধিক ধনী রাষ্ট্রে চলে যান বহু ভারতীয়। বাকি জীবনটা সেখানে কাটিয়ে দিতে চান তারা। পরবাসে সুখের দিন। নিজের দেশ ছেড়ে পরবাসে বাকি জীবনটা কাটাতে চান তাঁরা। অর্গানাইজেশন অফ ইকোনমিক কো অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট( OCED) এর আওতায় যে সমস্ত রাষ্ট্রগুলি রয়েছে সেখানকার দরজা খোলা রয়েছে ভারতীয়দের জন্য।
এদিকে ২০২২ সালে দেখা গিয়েছিল একেবারে রেকর্ড সংখ্য়ক ভারতীয় দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। সব মিলিয়ে ৫.৬ লাখ ভারতীয় সেই ওইসিডি দেশগুলিতে গিয়েছেন। বিগত বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি ভারতীয় ওই দেশগুলিতে গিয়েছেন বলে খবর। বিদেশে যাওয়ার নিরিখে ভারতের স্থান চিনের উপরে। চিনের স্থান ভারতের ঠিক নীচে। সেবার চিন থেকে ওই ওইসিডি দেশগুলিতে গিয়েছিল ৩.২ লাখ মানুষ।
ভারত থেকে বিদেশে নতুন যারা গিয়েছিলেন তাদের সংখ্যা ৬.৪ শতাংশ। সেখানে চিনের সংখ্য়া ৩.৮ শতাংশ।
এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রচুর রাশিয়ানও এই সমস্ত OECD দেশগুলিতে চলে গিয়েছেন। সেই সংখ্য়া প্রায় ২.৬ লাখ।
ইন্টারন্যাশানাল মাইগ্রেশন আউটলুক ২০২৪ এর হিসাব অনুসারে জানা গিয়েছে,(বৃহস্পতিবার প্যারিসে এই হিসেবটা প্রকাশিত হয়েছিল) সেখানে বিস্তারিতভাবে এই বিদেশযাত্রার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন ১.২ লাখ ভারতীয়। ২০২১ সালের তুলনায় এই সংখ্য়াটা একেবারে দ্বিগুণ। অন্যদিকে ১.২৫ লাখ ভারতীয় আমেরিকায় গিয়েছিলেন। এই সংখ্য়া বিগতদিনের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি।
তবে কানাডাতে ভারতীয়দের যাওয়ার সংখ্যা কিছুটা কমছে। গতবছরের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ কমেছে। এখানে মূলত শ্রমিকের ছাড়পত্র নিয়ে যান ভারতীয়রা। কখনও সরাসরি আবেদনের মাধ্যমে। কখনও আবার কানাডায় বসবাসকারী কোনও আত্মীয়ের মাধ্যমে তারা যান সেই ধনী দেশে।
এদিকে রাশিয়া থেকে মূলত তুরস্ক, ইজরায়েল ও জার্মানিতে যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। রোমানিয়া থেকে প্রচুর সংখ্য়ক মানুষ জার্মানি, স্পেন ও ইতালিতে যান।
এদিকে বর্তমানে আমেরিকায় ক্ষমতায় এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তাঁর জমানায় কত মানুষ আমেরিকায় গিয়ে ডেরা বাঁধতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ ট্রাম্পের জমানায় আমেরিকার ইমিগ্রেশন পলিসিকে আরও শক্তপোক্ত করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভারতীয়দের পক্ষেও আমেরিকায় গিয়ে থিতু হওয়াটা আগের তুলনায় কিছুটা হলেও বেশ কঠিন হয়ে যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :