শিরোনাম
◈ অক্সফোর্ডে ‘স্বাধীন কাশ্মীর রাষ্ট্র’ নিয়ে বিতর্কসভা ◈ পুলিশকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : আইজিপি ◈ ‘তিন শূন্যের’ ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান ড. ইউনূসের ◈ "বিশ্ব কিংবা রাষ্ট্র নয়, বাংলাদেশের ২০২৪ এর বন্যা মোকাবিলা করেছে তরুণ সমাজ" ◈ মাকে হত্যায় ছেলের সম্পৃক্ততা নিয়ে দুই বক্তব্য, যা জানাল র‍্যাব (ভিডিও) ◈ রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত সমাধান না হলে বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ আন্দোলনে জীবন দেয় তরুণরা, পদ ভাগাভাগি করে মুরুব্বীরা: হাসনাত আবদুল্লাহ (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে কাজ করবে ভারতীয় আমেরিকানরা ◈ ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ের পর এক সপ্তাহে যে পাঁচটি বিষয় ঘটেছে ◈ কানাডায় কঠোর অভিবাসন নীতিতে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা বিপাকে

প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:০৩ দুপুর
আপডেট : ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:৩০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পোপ ফ্রান্সিস ও ড. ইউনূসের নামে ভ্যাটিকানের নতুন উদ্যোগ

বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নামে যৌথভাবে একটি উদ্যোগ শুরু করেছে ভ্যাটিকান। বিশ্ব মানবতার জন্য একটি রূপান্তরমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে ‘পোপ ফ্রান্সিস থ্রি জিরোস ক্লাব’ নামের উদ্যোগটি চালু করেছে তারা। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

থ্রি জিরোস ক্লাব রোমের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যুবকদের জন্য এক আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এটি তাদের উদ্ভাবনী ধারণার বিকাশ ও স্থায়ী সমাধান তৈরির একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করবে বলে আশাবাদী তারা।

এই উদ্যোগ নেওয়ায় রোমের ভিকার জেনারেল কার্ডিনাল বালদো রেইনার কাছে চিঠি লিখেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চিঠিতে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তিনি এই উদ্যোগে ‘গভীরভাবে সম্মানিত’। এ উপলক্ষে তিনি কার্ডিনাল রেইনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

পোপ ফ্রান্সিস ও তাঁর নিজস্ব রূপান্তরমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ‘এই অসাধারণ উদ্যোগ আমাদের দুজনের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘থ্রি জিরোস ক্লাব শুধু দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যেই নয়, এটি এক নতুন সভ্যতার স্বপ্ন দেখায়, যা সহানুভূতি, ন্যায়বিচার ও টেকসই উন্নয়নের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। আমরা এমন এক সভ্যতার কথা কল্পনা করি, যেখানে কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না বরং প্রত্যেকে নিজের ভবিষ্যৎ নির্মাণে প্রধান ভূমিকা পালন করবে। একটি মানবিক পরিবারে সবাই গর্বিত সদস্য হবে।’

তিনি বলেন, ‘পোপ ফ্রান্সিস তাঁর বই “ফ্রাতেল্লি তুত্তিতে” লিখেছেন, “চলুন আমরা একক মানবিক পরিবার হিসেবে স্বপ্ন দেখি; একসঙ্গে পথচলা সহযাত্রী হিসেবে, একই পৃথিবীর সন্তান হিসেবে। আমাদের নিজস্ব বিশ্বাস ও চেতনার বৈচিত্র্য নিয়ে, আমরা সবাই ভাইবোন। ”

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘পোপ ফ্রান্সিসের সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং সামাজিক ব্যবসার প্রতি আমার বিশ্বাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, থ্রি জিরোস ক্লাব তরুণদের উদ্ভাবনী প্রকল্প বাস্তবায়নে উৎসাহিত করে।’ তিনি বলেন, ‘তাদের সৃজনশীলতা ও উদ্যোগী চেতনা লালন করে আমরা একটি আরও ন্যায়সংগত ও সমন্বিত সমাজ নির্মাণে সক্ষম হব।’

পোপ ফ্রান্সিস এবং অধ্যাপক ইউনূস সবাইকে এই উদ্যোগে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে এগিয়ে আসুন। এমন এক সভ্যতা গড়ুন, যা প্রত্যেক ব্যক্তির মর্যাদাকে সম্মান জানায় এবং আমাদের পৃথিবীর পবিত্রতা রক্ষা করে।’

উল্লেখ্য, বর্তমান তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে অন্তত ৪ হাজার ৬০০ থ্রি জিরোস ক্লাব রয়েছে। এর বেশির ভাগই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এই ক্লাবগুলো অধ্যাপক ইউনূসের নতুন সভ্যতার স্বপ্নের দ্বারা অনুপ্রাণিত। উৎস: আজকের পত্রিকা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়