১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায় দিয়েছেন মুম্বাই হাইকোর্ট।
আদালত জানায় অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী হলেও তার সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ককে আইনত ধর্ষণ হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। এ ক্ষেত্রে সম্মতিকে বৈধতার জন্য যুক্তি হিসেবে গ্রহণযোগ্য করা হবে না।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি জি. এ. স্যানাপ এই রায় দেন।
এক অভিযুক্ত ব্যক্তি নিম্ন আদালতের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। তবে হাইকোর্ট আপিল খারিজ করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার বাসিন্দা এবং প্রতিবেশী এক নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তিনি জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, যা মেয়েটিকে গর্ভধারণে বাধ্য করে। পরে তাকে বিয়ে করলেও বিয়ের পর তিনি শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন।
ভুক্তভোগী তরুণী আদালতে জানান, গর্ভপাতের জন্য চাপ দেওয়া এবং সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করায় তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। ২০২১ সালে নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
বিচারপতি স্যানাপ রায়ে বলেন, ‘বিবাহিত হোক বা না হোক, ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে। অভিযুক্তের যুক্তি ও সম্মতিকে এই ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক বলে গণ্য করা হবে।’
এদিকে ডিএনএ পরীক্ষায় সন্তানের পিতৃত্ব প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্তের আপিল খারিজ করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায় শিশু অধিকার সুরক্ষায় এবং নারীর প্রতি অপরাধ দমন করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :