শিরোনাম
◈ উত্তরাঞ্চল থেকে উপদেষ্টা করার দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের ◈ দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই যা করবেন ট্রাম্প  ◈ প্রতিটি দেশে একটি সামাজিক ব্যবসা ব্যাংকিং আইন থাকা উচিত : প্রধান উপদেষ্টা ◈ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে সরকারের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নাকি অন্যকিছু ? ◈ ভাইরাল সুপারিশপত্রের বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ রাজবাড়ীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ◈ ‘অহরহ কল আসছে, আমাকে উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চায়’ (ভিডিও) ◈ আগামী ২৪ ঘণ্টায় যেসব বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ◈ ‘আ. লীগ-বিএনপির কোনো পার্থক্য নেই, ওরা ক্ষমতার পাগল : ফয়জুল করীম (ভিডিও) ◈ বিশ্বে মশার কামড়ে ঘায়েল ৪ বিলিয়ন মানুষ

প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:০৫ বিকাল
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কানাডার অভিবাসন প্রক্রিয়া আরও জটিল হতে পারে 

ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসায় সারা বিশ্বের মতো কঠিন হতে পারে কানাডার অভিবাসন প্রক্রিয়াও। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢল নামার আশঙ্কায় সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছে কানাডা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধরপাকড় বা বের করে দেয়ার কার্যক্রম শুরু হলে বাড়বে অস্থিরতা। অর্থনীতিতেও পড়বে প্রভাব।

আগামী বছর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভিবাসন নীতি কঠোর করেছে কানাডা। এই অবস্থায় প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন সংকট শুরু হলে, দুই জায়গাতেই বেসামাল হবে পরিস্থিতি।

ইতোমধ্যে কানাডার পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বহু বাসিন্দা কানাডায় আসার চিন্তা করছেন। সীমান্তে তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। জাস্টিন ট্রুডো প্রশাসন গুরুত্ব দিয়ে মার্কিন সরকারের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণাও দিয়েছে।

কানাডার চিকিৎসক ডা. অরণী সালাস ইসলাম, ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য যেসব নীতিগুলো রয়েছে তা কখনই অভিবাসন বান্ধব নয়। যার নেতিবাচক প্রভাব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আসিফ বিন আলী বলেন, ‘ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর পুলিশের ওপর বিনিয়োগ আরো বাড়াবে, যাতে এটি তার অভিবাসন বিরোধী পলিসিতে ব্যবহার করা যায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা তিনি করবেন।’

মনে করা হচ্ছে জানুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ জারি করতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে যারা অবৈধ অভিবাসী তাদের সন্তান স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ হারাবে না। পাশাপাশি, যারা নাগরিক হওয়ার প্রাথমিক ধাপ ‘গ্রিন কার্ড’ পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন তারাও বিপাকে পড়বেন। মেক্সিকোসহ দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসী থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। আছেন ভারত, চীন, ফিলিপিন্সসহ এশিয়ানরাও।

অভিবাসন সংকট শুধু মানব সংকটই নয়, এর প্রধান ক্ষতি অর্থনীতিতে। চাকরির বাজার, আবাসন থেকে শুরু করে দেশে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বাধা আসতে পারে এর কারণে।

জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আসিফ বিন আলী আরও বলেন, ‘যারা বৈধ অভিবাসন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আসেনি, তারা তাৎক্ষণিকভাবে হুমকির মুখে পড়বে। তারা ইতোপূর্বে যে রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠাতেন, তারা আগামীতে তা কতটুকু পাঠাতে পারবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। তাই আমার মনে হয় এটা আমাদের রেমিট্যান্সের ওপরে একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’  

মার্কিন জনগণও যেমন জন রায়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তিগুলো সমর্থন করেছেন, তেমনি কানাডাতেও বাসিন্দারা চান অভিবাসীদের লাগাম টানতে। সে লক্ষ্যেই এখন কাজ করছেন উদারপন্থি বলে বিবেচিত লিবারেল পার্টিও।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়