এম. মোশাররফ হোসাইন : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের ভাই বাসিল রাজাপাকসেকে দেশত্যাগে বাধা দেওয়া হয়েছে। বাসিল রাজাপাকসে দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী ছিলেন। সম্প্রতি তিনি দেশত্যাগের চেষ্টা করলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দেশটিতে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে জনমনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এ থেকে বিক্ষোভ-সংঘাত থামানো যাচ্ছে না। এদিকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন টেম্পল ট্রিতে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের ঘটনার পর হাসপাতালে ১০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্যালেস, প্রেসিডেন্সিয়াল সচিবালয় দখলে নেয়। এরপর তারা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
শ্রীলঙ্কা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ইমিগ্রেশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন মঙ্গলবার জানিয়েছে, তাদের সদস্যরা কলম্বো বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বাসিল রাজাপাকসেকে দেশত্যাগে বাধা দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গতকাল (সোমবার) জানতে পেরেছি যে, বাসিল রাজাপাকসে শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করতে পারেন।
রাজাপাকসে বিমানবন্দরে প্রবেশ করার পর স্থানীয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে তার ছবি ব্যাপক হারে প্রকাশ করা হয়। এতে তার দেশ ত্যাগের খবরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তিনি জনক্ষোভের মুখে বিমানবন্দর থেকে সরে যেতে বাধ্য হন।
তবে তিনি দেশ ছাড়েননি এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গত শুক্রবারের পর থেকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে কোথায় আছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
তবে তিনি দেশেই রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন খোদ স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা। বিক্ষোভের মুখে পালিয়ে যান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। রাজধানী কলম্বোতে তার সরকারি বাসভবনে বিক্ষোভকারীদের হামলার পর সেটি ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। এতদিন তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
সরকারি এক সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে লুকিয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন এমন গুঞ্জনও ছড়ায়। সূত্র : আল জাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :