শিরোনাম
◈ সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ◈ টাকা তুলতে না পেরে ব্যাংকে তালা ঝোলালো বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা! ◈ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনে করে ভারত ◈ আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো কোনো কাজ করছি না : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ◈ যশোরে জামায়াত নেতা হত্যার আসামীসহ ৫ অপরাধী  গ্রেফতার ◈ নির্ধারণ হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ, পাচ্ছে আইনি কাঠামো ◈ ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতাগ্রহণের দুই সেকেন্ডের মধ্যেই একজনকে চাকরিচ্যুত করবেন, নেপথ্যে যে কারণ  ◈ প্রবাসী আয় বাড়ায় আবারও বাড়ল রিজার্ভ ◈ মামলা থেকে নাম বাদ দিতে বিএনপি নেতার ১ লাখ টাকা দাবি, অডিও ভাইরাল ◈ আর নয় জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব

প্রকাশিত : ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:৪৬ বিকাল
আপডেট : ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ০৮:২৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আর নয় জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে ডনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় সবচেয়ে বড় প্রত্যাবর্তন হিসাবে বিবেচিত। ট্রাম্প ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তবে তার বিজয় অভিবাসী দম্পতিদের উদ্বেগে ফেলেছে। 

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে গ্রিন কার্ডের অপেক্ষায় থাকা অভিবাসী ভারতীয়দের সন্তানরাও আগামী দিনে জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিক হওয়ার সুযোগ পাবে না।

অফিসিয়াল ট্রাম্প-ভ্যান্স প্রচারাভিযানের সাইটে পোস্ট করা পরিকল্পনাটির বাস্তবায়নের জন্য একদিনের মধ্যেই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন নতুন প্রেসিডেন্ট । শুধু অবৈধ অভিবাসীদের জন্যই এটি মাথাব্যথার কারণ নয় বরং খসড়া নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, “আমেরিকায় জন্মালেই কোনও শিশুকে আর নাগরিকত্ব দেয়া হবে না। সন্তানের পিতামাতার মধ্যে যেকোনও একজনকে মার্কিন নাগরিক হতে হবে। অথবা থাকতে হবে গ্রিন কার্ড। তবেই তাদের সন্তানরা আগামী দিনে আমেরিকার নাগরিক হতে পারবে।' 

ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি রাজীব এস খান্না টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন -'এটি প্রায় নিশ্চিতভাবে মার্কিন সংবিধানের ১৪ তম সংশোধনীর লঙ্ঘন। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট রায় রয়েছে।' পদক্ষেপের বৈধতা সম্পর্কে  কথা বলতে গিয়ে অভিবাসন অ্যাটর্নি গ্রেগ সিসকিন্ড বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই ১৪তম সংশোধনীর লঙ্ঘন। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইনত দম্পতিদের সন্তানদের বাদ দিতে এতদূর যায় কিনা তা আমাদের দেখতে হবে।’ 

২০২২ সালের মার্কিন জনগণনা অনুযায়ী, আমেরিকায় ৪৮ লক্ষ ভারতীয় বসবাস করেন। তার মধ্যে ১৬ লক্ষই জন্মগ্রহণ করেছে মার্কিন মুলুকে। ট্রাম্পের নয়া নীতি অনুযায়ী, তারা কেউই মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য নয়। কারণ তাদের পিতামাতা মার্কিন নাগরিক নন বা তাদের গ্রিন কার্ড নেই।  H-1B ভিসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত অনেকেই কয়েক দশক ধরে ব্যাকলগে আটকা পড়েছেন। কর্মসংস্থান-ভিত্তিক গ্রিন কার্ডের জন্য বার্ষিক লক্ষ্য ১৪০,০০০ সেট করা হয়েছে। অতিরিক্তভাবে কোনও দেশই কর্মসংস্থান বা পরিবার-ভিত্তিক বিভাগে মোট গ্রিন কার্ডের সাত শতাংশের বেশি পেতে পারে না।

 এই নিষেধাজ্ঞা অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কর্মসংস্থান ভিত্তিক বিভাগে ভারতীয় আবেদনকারীদের প্রভাবিত করতে পারে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া দ্বারা উদ্ধৃত ক্যাটো ইনস্টিটিউটের অভিবাসন অধ্যয়নের পরিচালক ডেভিড জে বিয়ারের একটি সমীক্ষা দেখায় যে, ভারত থেকে কর্মসংস্থান ভিত্তিক গ্রিন কার্ড ব্যাকলগ ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এক মিলিয়ন অতিক্রম করেছে। 

যদি মৃত্যু এবং বার্ধক্যের মতো কারণগুলি বিবেচনা করা হয় (যা এই ব্যক্তিদের ব্যাকলগ পরিসংখ্যান থেকে বাদ দিতে পারে) গ্রিন কার্ডের জন্য কাউকে ৫৪ বছর থেকে ১৩৪ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। এই বিভাগে অপেক্ষারত প্রায় ৪.১৪ লক্ষ ভারতীয় গ্রীন কার্ড পাওয়ার আগেই মারা যাবে এবং ভারতীয় পরিবারের এক লক্ষেরও বেশি শিশুর নির্দিষ্ট  বয়স অতিক্রম করে যাবে  (২১বছর বয়সে) এবং তাদের  ভিসা আর বৈধ থাকবে না। তারা  গ্রিন কার্ডের সারি থেকে বাদ পড়বে। সূত্র : ইকোনমিক টাইমস ও মানবজমিন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়