মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮ কোটির বেশি আগাম ভোটারের মধ্যে অন্যতম রজার ও লরার। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলাওয়াকির বাসিন্দা এই বিবাহিত দম্পতি ভোটও দিয়েছেন।
এক ছাদের নিচে বসবাস হলেও রাজনীতিতে দুজন বিপরীত মেরুর মানুষ। একজন রক্ষণশীল, আরেকজন তুলনামূলক উদার। তাহলে দুজন একসঙ্গে একই ছাদের নিচে থাকেন কীভাবে?
তাঁদের সঙ্গে সোল্লিস গ্রিল নামে উত্তর মিলওয়াকির এক ডিনার রেস্তোরাঁয় বসে বিবিসির প্রতিবেদক জেমি কুমারাস্বামী জবাবই খুঁজছিলেন। কথায় কথায় লরা জানালেন, তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সমর্থক।
কমলাকে সমর্থনের পেছনে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বিবিসিকে বলেন, কারল, আমেরিকার নারীরা ‘পেছনে ফিরে যাক’ তা তিনি চান না।
তাঁর আশা ছিল, স্বামীকেও কমলার পক্ষে ভোট দিতে তিনি রাজি করাতে পারবেন। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। কারণ, তিনি রক্ষণশীল অবস্থান থেকে একচুলও নড়তে অনড়।
রজার বিবিসিকে বলেন, তিনি প্রার্থীদের মধ্যে ‘মন্দের ভালো’ প্রার্থী অর্থাৎ রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। কারণ, তিনি একজন রক্ষণশীল এবং গর্ভপাতের বিরুদ্ধে তাঁর কট্টর অবস্থান।
তাহলে গৃহদাহ এড়ায় কী করে? জবাবে এই দম্পতি বলেন, ঘরে তাঁরা রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন না। সংসারে শান্তি বজায় রাখতে এই কৌশল নিয়েছেন তাঁদের।
তবে লরা বলেন, তাঁদের ‘বিয়ে’ একটি বিভক্ত দেশের জন্য অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে তিনি ‘আশা’ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :