শিরোনাম
◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত ◈ লন্ডন-যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ কোটি টাকা পাচার : হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু ◈ উপসচিব পুলে কোটা: প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থান ◈ জাহাজ থেকে ১৯ নাবিক বিদেশে পলায়ন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারালো অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ◈ ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভারতের কাছে এশিয়া কাপের ফাইনালে হেরে গেলো বাংলাদেশ ◈ রাহাত ফতেহ আলী খান ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা  বিপিএল মিউজিক ফেস্টে গান গাইবেন ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় দিনে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ! ◈ একবার চার্জে ৬৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে, সৌদি আরবে প্রথম হাইড্রোজেনচালিত বাস চালু

প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৩:৫৮ দুপুর
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতে ডিজিটাল জালিয়াতি ১৭৭৬ কোটি রুপি

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস: ভারতীয় সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার বলছে, দেশটির সাইবার ক্রাইম নিরীক্ষণকারী মতে, ভারতীয়রা হ্যাকারদের জালিয়াতিতে ১২০ কোটি ৩০ লাখ রুপি হারিয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন বলছে এসব জালিয়াতে ঘটে এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে। ভারতের সরকারি সাইবার ক্রাইম ডেটা এ তথ্য দিয়েছে। 
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে শুধু হ্যাকিং নয় গত মে পর্যন্ত ভারতীয়রা ট্রেডিং কেলেঙ্কারিতে ১,৪২০ কোটি ৪৮ লাখ রুপি, বিনিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ২২২ কোটি ৫৮ লাখ রুপি এবং রোম্যান্স/ডেটিং কেলেঙ্কারিতে ১৩ কোটি ২৩ লাখ  রুপি হারিয়েছে। 

এসব হ্যাকারদের অনেকেই মিয়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়ায় বাস করে। হ্যাকারদের প্রবণতাগুলির একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে গত জানুয়ারি-এপ্রিল সময়কালে রিপোর্ট করা সাইবার জালিয়াতির ৪৬ শতাংশ মিয়ানমার, লাওস এবং কম্বোডিয়া থেকে এসেছে। এবং এধরনের ক্রমশ বাড়ছে। 

ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালের (এনসিআরপি) তথ্য অনুযায়ী, এই বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ৭.৪ লাখ অভিযোগ করা হয়েছে, গত বছর এধরনের অভিযোগ ছিল ১৫.৫৬ লাখ। ২০২২ সালে মোট ৯.৬৬ লাখ এবং তার আগের বছর ছিল ৪.৫২ লাখ। সম্ভাব্য ভুক্তভোগীরা একটি কল পান এবং তাদের কলকারী বলেন যে তাদের নামে একটি পার্সেল/কুরিয়ার এসেছে। এসব পার্সেলে অবৈধ পণ্য, ওষুধ, জাল পাসপোর্ট বা অন্যান্য নিষিদ্ধ পণ্য থাকে। 

জালিয়াতকারীরা একবার তাদের জালে টার্গেট পেয়ে গেলে, প্রতারকরা তাদের সাথে স্কাইপ বা অন্যান্য ভিডিও কলিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যোগাযোগ করত যারা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিজেকে জাহির করে, প্রায়শই ইউনিফর্ম পরিধান করে এবং পুলিশ স্টেশন বা সরকারী অফিসের মতো জায়গা থেকে কল করে এবং একটি ‘সমঝোতার’ জন্য অর্থ দাবি করে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন কি বাত অনুষ্ঠানে তার দেশের নাগরিকদের এধরনের ডিজিটাল জালিয়াতিতে পড়ার আগে নিরাপদ থাকার জন্য ৩টি ধাপ অনুসরণ করতে বলেছেন। তা হচ্ছে থামুন, চিন্তা করুন, পদক্ষেপ নিন। মোদি বলেন, প্রথমত, শান্ত থাকুন এবং আতঙ্কিত হবেন না। রেকর্ড করুন বা সম্ভব হলে একটি স্ক্রিন রেকর্ডিং নিন। দ্বিতীয়ত, মনে রাখবেন কোনো সরকারি সংস্থা আপনাকে অনলাইনে হুমকি দেবে না। তৃতীয়ত, জাতীয় সাইবার হেল্পলাইনের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য ১৯৩০ ডায়াল করে ব্যবস্থা নিন এবং এই ধরনের অপরাধ সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করুন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়