শিরোনাম
◈ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কাউকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হবে না: জাতিসংঘকে সেনাপ্রধান ◈ থাইল্যান্ডে ভ্রমণপ্রত্যাশী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা চালুর সিদ্ধান্ত ◈ জবি ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ্যে এলো ◈ ১৫ কোটি টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক কপি ‘দ্য লিটল প্রিন্স’ ◈ ক্রেস্টে শেখ হাসিনার নাম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ◈ নিলামে উঠবে আওয়ামী এমপি-মন্ত্রীদের ১৮ বিলাসী গাড়ি ◈ এমপি হোস্টেলে ৫ই আগস্টের পর দুটি ভবন ছাড়া বাকি সব ভবন খালি ◈ ব্যাংকের ভেতরেই ব্যাগ কেটে গ্রাহকের পেনশনের লাখ টাকা চুরি (ভিডিও) ◈ ইউরোপের অর্ধেক মুসলিম বৈষম্যের মুখে, বর্ণবাদ উদ্বেগজনক বৃদ্ধি ◈ যৌথবাহিনী অভিযান : অস্ত্রসহ মহিলা লীগ নেত্রী রুপা আটক, আরও যা মিলল

প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:১৭ বিকাল
আপডেট : ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিশ্ব ভারতীর জাদুঘর ‘বাংলাদেশ ভবন’ বন্ধ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘর ‘বাংলাদেশ ভবন’ চলতি বছরের আগস্টের পর আর চালু হয়নি। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই জাদুঘরটিতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ব ভারতীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন নিদর্শনের পাশাপাশি, জাদুঘরে দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতি আছে এখানে। গণআন্দোলনের মুখে হাসিনা যখন ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন, তখন তার বাবার ভাস্কর্য (বাংলাদেশে) জনতা ভেঙে ফেলে। 

বিশ্ব ভারতীর ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, হাসিনা সরকার বাংলাদেশ ভবন পরিচালনার ব্যয় বহন করত। ২০১৮ সালে হাসিনা এবং আমাদের (বিশ্ববিদ্যালয়ের) চ্যান্সেলর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে এর উদ্বোধন করেছিলেন। বাংলাদেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত জাদুঘরটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। চার মাস পেরিয়ে গেলেও, কেন্দ্র সরকার বা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার- কেউই আমাদের এটি আবার চালু করতে বলেনি। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তারা জানান, প্রতিবছর ৭ আগস্ট রবীন্দ্রনাথে মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হতো বাংলাদেশ ভবনে। কিন্তু এবারে সেই আয়োজন সেখানে না করে খোলা মাঠে করা হয়েছিল। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামগ্রিক নিরাপত্তাও আগস্ট থেকে বাড়ানো হয়েছে। 

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, দেশটির জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয় ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত গান ‘আমার সোনার বাংলা’। যদিও তিনি ১৮৬১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট এই শহরেই মৃত্যুবরণ করেন। তারপরও তার গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে বেছে নেয় বাংলাদেশ। ঠাকুরের বিখ্যাত অনেক কবিতা ও গান রচনা করেছিলেন অবিভক্ত বাংলা আমলে। 

শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল জীবনীচিত্র ‘মুজিব, দ্য মেকিং অব আ নেশন’ তৈরি করেন। গত আগস্টে এর প্রদর্শনী হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়