শিরোনাম
◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে যে ছয়টি বড় চ্যালেঞ্জ ◈ সেনা সদস্যরা ঘিরে রেখেছে বরিশালে সাবেক চিফ হুইপ হাসানাতের বাড়ি ◈ এবার ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে সাংবাদিক ইলিয়াসের স্ট্যাটাস ◈ হাসিনার দায়ভার ভারত সরকারকেই নিতে হবে: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ সিলেটে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় শেখ মুজিবের ম্যুরাল ◈ ভাঙা হল শেখ মুজিবের বাড়ি, ধানমন্ডি ৩২ এখন ধ্বংসস্তূপ (ভিডিও) ◈ এবার হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে আগুন (ভিডিও) ◈ কোনো উস্কানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য ধরুন: জামায়াত আমিরের আহ্বান ◈ শেষ ওভারের নাটকীয়তায় খুলনা টাইগার্সকে কাঁদিয়ে চিটাগং কিংস ফাইনালে ◈ শহীদ তাজউদ্দীন নার্সিং কলেজে বহিরাগতদের হামলায় ৫০ শিক্ষার্থী আহত

প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:২৩ বিকাল
আপডেট : ২০ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজায় ২৫ কেজি ময়দার দাম হাজার ডলার!

আল জাজিরা: যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় এক কেজি টমেটোর দাম ১৮০ মার্কিন ডলার। প্রতি কেজি চিনির মূল্য ৬০ ডলার। উত্তর গাজায় ২৫ কেজির এক বস্তা ময়দার মূল্য ১ হাজার মার্কিন ডলার। দক্ষিণ গাজায় তা দেড়শ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। গাজার উত্তরে যুদ্ধপরিস্থিতি ভয়াবহ বলে খাদ্যের দাম অসহনীয় ও ক্রেতার ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ অব্যাহত থাকায় খাদ্যমূল্য শুধু অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়নি একই সঙ্গে ত্রাণ সরবরাহে ইসরায়েলি বাধার কারণে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর নাজুক পর্যায়ে চলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ইসরায়েলকে ত্রাণ তৎপরতায় বাধা দেওয়ায় অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারী দিলেও পরিস্থিতির কোনো হেরফের হয়নি। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে গাজায় এ ভয়াবহ খাদ্য সংকটের খবর উঠে এসেছে। 

দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে, ইসরায়েল উত্তর গাজায় প্রবেশের জন্য প্রায় সমস্ত খাদ্য সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে, জাতিসংঘের অনুমান, সেখানে বসবাসকারী প্রায় ৪ লাখ ফিলিস্তিনিরা অনাহারে ভুগছে। ইসরায়েলি হামলা এবং জোরপূর্বক বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশে খাদ্য বিতরণ পয়েন্ট, রান্নাঘর এবং বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) সহায়তা পায়  উত্তর গাজার একমাত্র কার্যকরী বেকারিতে ইসরাইল গোলাবারুদ দিয়ে আঘাত করার পর আগুন ধরে যায়।

গাজা উপত্যকা জুড়ে, কমপক্ষে ২.১৫ মিলিয়ন মানুষ, বা জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ, উচ্চ স্তরের খাদ্য ঘাটতির মুখোমুখি হয়ে পড়ায়, পাঁচজনের মধ্যে একজন অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। 

গাজার বেশিরভাগ লোকেরই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার উপায় নেই এবং দাতব্য রান্নাঘর এবং খাদ্য ও নগদ কুপনের জন্য সাহায্য বিতরণের উপর নির্ভর করে। ইসরায়েলের চলমান হামলার কারণে অর্থনীতি ভেঙে পড়ায় তাদের বেশিরভাগই চাকরি হারিয়েছে। বিনিময়ের জন্য তাদের কাছে যা কিছু নগদ সঞ্চয় এবং আইটেম ছিল তা শেষ হয়ে গেছে। মাইলের পর মাইল ফসলের মাঠ গোলার আঘাতে পুড়ে গেছে। চাষাবাদ বন্ধ। খাদ্য উৎপাদনের কোনো সুযোগ পাচ্ছে না এলাকাবাসীরা। কারণ লাখ লাখ বাসিন্দা প্রাণের ভয়ে এক কাপড় পড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। 

এরফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। যুদ্ধের আগে, এক ডজন ডিমের দাম ছিল সাড়ে ৩ ডলার। এটি এখন গাজার দক্ষিণে ৩২ এবং উত্তরে প্রায় ৭৩ ডলারে এ বিক্রি হয়। নন-ডেইরি গুঁড়ো দুধ এখন উত্তরে বিক্রি হয় ১ ডলার প্রতি চামচ, বা ১২৪ ডলার প্রতি কিলো (২.২ পাউন্ড)। ইসরায়েল গাজার বেশিরভাগ খামার, কূপ এবং গ্রিনহাউস ধ্বংস করার পরে শসা এবং টমেটো সহ তাজা পণ্যগুলি সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও দুস্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। ভূউপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে যুদ্ধের আগে ও পরে কৃষি জমি ধংসের চিহ্ন স্পষ্ট ধরা পড়ে। গাজার বিট লাহিয়া ছিল একসময়ের উর্বর অঞ্চল। যেখানে অজস্র রসালো স্ট্রবেরি ভর্তি ট্রাক ক্ষেত থেকে ছুটে আসত বাজারে। স্থানীয়রা পছন্দ করে স্ট্রবেরিকে ডাকত ‘লাল সোনা’ বলে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়