শিরোনাম
◈ সহজ হয়েছে বিদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানো, লাগবেনা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ◈ বিরল ঘটনা, বাংলাদেশে এক বছরে আয়োজন হলো ৯টি আন্তর্জাতিক টেনিস টুর্নামেন্ট ◈ রাষ্ট্র সংস্কারে আরও ৪ কমিশন গঠন ও প্রধানের নাম ◈ দেশের মাটিতে বিদায়ী টেস্ট খেলা হচ্ছে না, দুবাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাচ্ছেন সাকিব ◈ সাকিবকে দেশে না আসার পরামর্শ দিয়েছি অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে: ক্রীড়া উপদেষ্টা ◈ দল থেকে সাকিবকে বাদ না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ছাত্র-জনতার ◈ বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি, ৪ কর্মকর্তা যৌথ বাহিনীর হেফাজতে (ভিডিও) ◈ গণহত্যা: হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর বিশ্ব মিডিয়ায় ◈ গাজায় ২৫ কেজি ময়দার দাম হাজার ডলার! ◈ আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, সহিংসতার পক্ষে কোনো অজুহাত থাকতে পারে না : যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:২৭ দুপুর
আপডেট : ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আতঙ্কিত ইসরায়েল, লেবাননের যোদ্ধাদের ‘বিপজ্জনক’ নৌশক্তিতে 

লেবাননে স্থল অভিযানের পর থেকে ব্যাপক হোচটের মুখোমুখি পড়েঠে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে তারা নিজেদের সৈন্যও হারিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হিজবুল্লাহর নৌশক্তি নিয়ে নতুন আশঙ্কার খবর দিয়েছেন ইসরায়েলের নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহর নৌশক্তি এখনও কার্যকর রয়েছে। তাদের হাতে ইসরায়েলে হামলা চালানো সম্ভব নেভাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দশক ধরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হিজবুল্লাহর নৌ সক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করছে। সেখানে দেখা গেছে, হিজবুল্লাহর নৌ সেনাদের কাছে রাশিয়ার তৈরি পারসনিক ইয়াখন্ট ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

রাশিয়ার তৈরি এ ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘পশ্চিমি নৌবহরের দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ইসরায়েলের দাবি, সিরিয়া রাশিয়ার কাছ থেকে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছিল। পরে তা হিজবুল্লাহর হাতে গিয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, ইরানের সমর্থনে হিজবুল্লাহ একটি গেপান নৌ ইউনিট তৈরি করেছে। তবে আইডিএফ তাদের সক্ষমতার কিছু অংশ ধ্বংস করেছে। এরপরও তাদের অত্যাধুনিক সক্ষমতা রয়ে গেছে। তাদের কাছে উপকূলে অভিযান ও জাহাজে হামলা চালানোর মতো অস্ত্র রয়েছে। এছাড়া হিজবুল্লাহর উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডার রয়েছে।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের দাবি, আইডিএফ লেবাননের জনসীমার কাছে সতর্ক রয়েছে। ফলে সেখানে তাদের চমকে দেওয়ার সম্ভাবনা কম।

এর আগে ২০০৬ সালে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের সময় তারা নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস হানিতে সি-৮০২ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। এরপর থেকে তারা নৌশক্তির আধুনিকায়ন করেছে।

আইডিএফের ধারণা, ইরান এ যুদ্ধের আগে পরে হিজবুল্লাহকে বিভিন্ন প্রকারের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানান, হুতিদের ব্যবহৃত নৌ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেখে পশ্চিমা অনেক গোয়েন্দা সংস্থা অবাক হয়েছে। এটির নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানার ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ক্ষমতা রয়েছে। যা ব্যাপক উচ্চতা থেকে তীক্ষ্ণ কোনে জাহাজের ওপর নেমে আসে। ফলে নেভায় আয়রন ডোম দিয়ে এর মোকাবিলা করা নতুন চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, আমরা জানতাম চীনের কাছে এমন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। তবে ইরানিরাও তাদের ক্ষেপণাস্ত্রকে উন্নত করেছে। পরে তা হুতিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এক বছর আগে বেশ কয়েকটি জহাজে এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট্র হয়েছিল। পরে তা উন্নত করা হয়েছে। এটি যত তীক্ষ্ণ কোনে নেমে আসে তত আটকানো কঠিন হয়ে যায়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়