ইরানের হাইপারসনিক মিসাইল মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম। গেল এপ্রিলে ইরানের ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-১’ এ ব্যবহৃত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পুরোপুরিভাবে প্রতিরোধে ব্যর্থ হয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম। এবার ইরানের তৈরি কদর এবং এমাদ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে আবারও আয়রন ডোমের অকার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।
ইরানের সংবাদপত্র লিখেছে, ইসরায়েলের মিত্রদের যোদ্ধারা ইহুদিবাদীদের সমর্থনে ইরানের উৎক্ষেপিত শত শত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন প্রতিরোধে পাল্টা মিসাইল নিক্ষেপ করে। তবে অপারেশন ট্রু প্রমিজ ২-এ ব্যবহৃত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সেইসাথে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ও তাদের সমর্থকদের প্রতিরক্ষা প্রচেষ্টা খুবই অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
ইরান অধিকৃত ফিলিস্তিনে আক্রমণের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে দেশীয় তৈরি প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) দাবি করেছে, তাদের নিক্ষেপ করা ৯০ শতাংশ মিসাইল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহর নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরাল্লাহ এবং আইআরজিসি কমান্ডার আব্বাস নীলফোরোশানকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই অভিযান চালানো হয়।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, ইসরায়েলের উপর ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার লক্ষ্য ছিল একটি গোয়েন্দা সদর দপ্তর এবং তেল আবিব সরকারের ৩টি সামরিক ঘাঁটি। সূত্র: মেহর নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :