ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। এই মাছ বাংলাদেশ এবং সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষের খাবারের তালিকায় বেশ প্রিয় এবং পরিচিত নাম। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী ভারতের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কূটনীতির হাতিয়ার হিসেবে বঙ্গোপসাগর এবং নদীতে পাওয়া মাছটিকে ব্যবহার করেছিলেন।
আজ ১ অক্টোবর মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ কূটনীতিতে প্রভাব ফেলছে ইলিশ। অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে দুর্গা পূজার উত্সবের আগে ভারতে ইলিশ মাছের রপ্তানি সংক্ষিপ্তভাবে নিষিদ্ধ করার পর আবারও দুই সপ্তাহের মধ্যে আদেশটি ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনা এই কূটনীতির প্রভাবকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।
ভারতে দুর্গা পূজার উত্সবে সরিষার তরকারিতে রান্না করা ইলিশ মাছ একটি জনপ্রিয় খাবার। পূজার আগে সেপ্টেম্বরে ইলিশের ওপর বাংলাদেশ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা জারি করে, বিশেষ করে ভারতে চালানকে লক্ষ্য করে। দেশের মৎস্য কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা করেছেন, অভ্যন্তরীণ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দিতে এবং ক্রমহ্রাসমান ইলিশের সংখ্যা পরিচালনার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজনীয় ছিল।
যদিও ২ সপ্তাহ পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এবং ভারতে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ চালানের অনুমোদন দেয়। তবুও ভারতের একজন বিশেষজ্ঞের মতে, সংক্ষিপ্ত নিষেধাজ্ঞাটি ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে শুভেচ্ছা ও বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ইলিশ ব্যবহারে শেখ হাসিনার অনুশীলন থেকে “দৃঢ় প্রস্থান” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা প্রথম মাছটিকে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে প্রধান দ্বিপাক্ষিক সমস্যা পানি বণ্টনের একটি যুগান্তকারী চুক্তির আগে তিনি পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে ইলিশ উপহার দেন। উৎস: চ্যানেল আই
আপনার মতামত লিখুন :