শিরোনাম
◈ হাসিনার ফেরিওয়ালা যখন প্রিয়াঙ্কা ◈ সমাজের উচ্চ পর্যায়ের যারা দুর্ঘটনা ঘটায় তাদের বিচার হয় না: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ ◈ সন্দেহজনকভাবে অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ◈ নতুন প্রযুক্তি আসছে ব্যাটারিচালিত রিকশায় ◈ মোবাইল ফোন রক্ষা করতে গিয়ে ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন কামরুল হাসান, জড়িত ২ কিশোর গ্রেপ্তার ◈ শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালিয়ে যাওয়ার কারণে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি : এবিসির রিপোর্ট ◈ চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি হচ্ছে , ২-৩ দিনের মধ্যেই অভিযান: ডিএমপি কমিশনার ◈ সাংবাদিকদের জন্য বিপজ্জনক ভারত! ◈ দেড় শতাধিক নিহতের দাবি তাবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে, যা জানালো রিউমর স্ক্যানার

প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:২৮ রাত
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রিটেনে টাটার সবচেয়ে বড় স্টিল কারখানা বন্ধ ঘোষণা

ভারতীয় মালিকানাধীন টাটা স্টিল যুক্তরাজ্যের পোর্ট ট্যালবোটে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে উৎপাদনে থাকা ব্লাস্ট ফার্নেস কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ব্রিটেনে টাটার সবচেয়ে বড় এই স্টিল কারখানাটির উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে সাউথ ওয়েলসজুড়ে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

এদিন বিকেল ৫টার পর ওয়েলসে ঐতিহ্যবাহী ইস্পাত তৈরির কারখানার চুল্লি থেকে চূড়ান্তভাবে সাদা বাষ্পের বরফ বের হতে দেখা যায়। টাটা স্টিল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কারখানা বন্ধের বিষয়টি যুক্তরাজ্যের লোহা ও ইস্পাত তৈরির ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। কারণ, পোর্ট ট্যালবোটের ইস্পাত তৈরির সম্পদগুলো শেষ প্রান্তে পৌঁছেছে। তবে সাইটটিতে ইস্পাত তৈরির কাজ ২০২৭/২০২৮ সাল থেকে পুনরায় শুরু হবে। ‘সবুজ ইস্পাত’ তৈরিতে বিনিয়োগ করবে, যা কম কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করবে।  

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই স্কিমটি যুক্তরাজ্য জুড়ে ৫ হাজারের বেশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে এবং যুক্তরাজ্যজুড়ে টাটা স্টিলের ব্যবসাগুলোকে একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার সুবিধা দেবে। ’
এ কারখানা তৈরির ক্ষেত্রে মোট ১২৫ কোটি পাউন্ড খরচ হবে। ৫০ কোটি পাউন্ড সরকারি ভর্তুকি দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে প্রায় ১০ লাখ পাউন্ড মূল্যের আর্থিক ক্ষতি রোধ হবে।

গত শুক্রবার কর্মীদের কাছে পাঠানো একটি ইমেইলে টাটা ইউকে-এর প্রধান নির্বাহী মি. নায়ার বলেন, ‘পোর্ট ট্যালবট দীর্ঘদিন ধরে লোহা ও ইস্পাত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত এবং আমাদের উৎপাদনের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার দিনটি কর্মীদের জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং আবেগপূর্ণ দিন হবে। ঠিকাদার, অংশীদার এবং স্থানীয়দের সবার জন্যই দিনটি কঠিন হবে। তবে একটি সবুজ ইস্পাত ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা করতে এটি একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। আমরা যুক্তরাজ্যের ইস্পাত খাতের জন্য একটি টেকসই ও প্রতিযোগিতামূলক ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। ’

তবে কারখানার উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্তে অনেকটাই ক্ষুব্ধ ইউনিয়নগুলির নেতাকর্মীরা। কারণ, কারখানা বন্ধে প্রায় ২ হাজর ৮০০ জন চাকরি হারিয়েছেন। অনেকে আশঙ্কা করছেন যে, এ শিল্পেরে সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরসহ আরও বেশি সংখ্যক কর্মী কর্মহীন হয়ে পড়বেন।

পোর্ট ট্যালবোটের বেশিরভাগ ইস্পাত শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী কমিউনিটি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রয় রিকহাস বলেছেন, আজ ব্রিটিশ ইস্পাত শিল্পের জন্য একটি ‘অবিশ্বাস্য, দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক দিন’। এটি বিশাল হতাশার একটি মুহূর্ত, এভাবে না হলেই ভালো হতো।

তিনি বলেন, ‘গত বছর কমিউনিটি এবং জিএমবি পোর্ট ট্যালবোটের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প পরিকল্পনা হাতে নেয়, যা সবুজ ইস্পাত তৈরিতে একটি ন্যায্য রূপান্তর নিশ্চিত করবে এবং অপ্রয়োজনীয়তা রোধ করবে। আর সেই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে টাটার এই সিদ্ধান্ত একটি ঐতিহাসিক ভুল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ’

সূত্র: স্কাই নিউজ ও রয়টার্স।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়