শিরোনাম
◈ আইজকে থিক্যা সব হিসাব কিতাব তুই দিবি, যদি না দ্যাস, তোরে কিন্তু একদম : চাপাতি হাতে সন্ত্রাসী ◈ আফ্রিকার দেশ ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩৮ ◈ নারী ক্রিকেটারদের জন্য প্রথম শ্রেণির চুক্তি চালু করছে বিসিবি, থাকবে উইনিং বোনাস ◈ গ্রেফতারি পরোয়ানা ভারতীয় ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পার বিরুদ্ধে ◈ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত ১৫ ◈ দুই দিন ধরে নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থী সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান ◈ বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ: আছে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা, যেভাবে আবেদন করবেন ◈ একদিনেই সড়কে ঝরলো ১৮ প্রাণ ◈ আমাদের পাকঘরে উঁকি মারার চেষ্টা করবেন না: ভারতের উদ্দেশ্যে জামায়াতের আমীর ◈ মেছো বিড়াল হত্যার ঘটনায় সামাজিকমাধ্যমে তোলপাড়, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৩ দুপুর
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ৮৫ টন বোমা ব্যবহার করেছে ইজরায়েল, এক সপ্তাহে নিহত হিজবুল্লাহর সাত শীর্ষ কর্মকর্তা

লেবাননের বৈরুতে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যায় ইসরায়েল যে বোমা ব্যবহার করে, তা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। গতকাল রোববার এক মার্কিন সিনেটর এ কথা বলেছেন।

গত শুক্রবার রাতে বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হন। তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিনি লেবাননের শিয়াপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর নেতৃত্বে ছিলেন।

মার্কিন সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস এয়ারল্যান্ড সাব-কমিটির চেয়ারম্যান মার্ক কেলি গতকাল এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েল দুই হাজার পাউন্ডের (৯০০ কেজি) ‘মার্ক ৮৪’ সিরিজের বোমা ব্যবহার করেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি গাইডেড অস্ত্র।

নাসরুল্লাহর ওপর হামলায় কোন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এই প্রথম কোনো মার্কিন কর্মকর্তার কাছ থেকে বক্তব্য এল।

মার্ক কেলি বলেন, তাঁরা গাইডেড অস্ত্রের অধিক ব্যবহার দেখছেন। তাঁরা এই অস্ত্রগুলো সরবরাহ করে থাকেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত শনিবার বলে, তারা বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় কমান্ড সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে।

নাসরুল্লাহর ওপর হামলায় কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সে বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাসরাল্লা এবং হিজবুল্লা ডেরা গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য ‘জিহিইউ-৩১ জেডিএএম’ এবং ‘স্পাইস ২০০০’ বোমা ব্যবহার করেছে ইজরায়েল।

৩২ বছর ধরে হিজবুল্লার প্রধান ছিলেন নাসরাল্লা। তাঁর জন্যই ২০০০ সালে ইজরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবানন ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, এই নাসরাল্লার নেতৃত্বেই ২০০৬ সালে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ৩৪ দিন ধরে হিজবুল্লা লড়াই জারি রেখেছিল। লেবাননে গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। গত সপ্তাহেই সেখানে একের পর এক পেজার, ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে বহু প্রাণহানি হয়। একইসঙ্গে হিজবুল্লার ডেরা লক্ষ্য করে লাগাতার বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ।

হিজবুল্লা প্রধান নাসরাল্লাকে প্রাণে মারার জন্য লেবাননে ‘নিউ অর্ডার’ নামে অভিযান শুরু করে ইজরায়েল। ইজরায়েলি বাহিনী আইডিএফ সূত্রে খবর, গত কয়েক মাস ধরেই নাসরাল্লার গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছিল। নাসরাল্লা প্রতি মুহূর্তে তাঁর ঠিকানা বদলাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানী বেইরুটের দক্ষিণে দহিয়ার একটি বহুতলের নীচে বানানো বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন নাসরাল্লা। মাটির কয়েক ফুট নীচে থাকা সেই বাঙ্কারকে চিহ্নিত করে আইডিএফ। তার পর সেই বহুতলের উপর একের পর এক বোমাবর্ষণ করে তারা। কয়েক মিনিটে ৮৫টি এক টনের বোমা ফেলা হয় ওই বহুতল লক্ষ্য করে।

লেবাননে হিজ়বুল্লার উপর ইজ়রায়েলের হামলা শুরু হয় ১৭ সেপ্টেম্বর। পেজার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হিজ়বুল্লা সদস্যদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। প্রায় তিন হাজার পেজার বিস্ফোরণ হয়। বহু মানুষের প্রাণহানি হয়। আহত হন তিন হাজারের মতো মানুষ। তার পর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ জারি। একের পর এক হামলায় বিধ্বস্ত লেবানন। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা।

মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহসহ শসস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাতজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার ও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বড় ধরনের এই সামরিক ও গোয়েন্দা সাফল্য লেবানন ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ অংশকে হতবাক করে দিয়েছে।

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর উপর অতর্কিত হামলার একদিন পর গাজা উপত্যকায় নিজেদের মিত্র হামাসকে সমর্থন দিতে হিজবুল্লাহ একটি ফ্রন্ট খুলেছে।

লেবাননে সাম্প্রতিক হামলা এবং নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ডের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়েছে।

লেবাননের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক ও রাজনৈতিক শক্তি এখন গুরুতর আঘাত কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। কারণ ১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে হিজবুল্লাহর প্রতিষ্ঠার সময় থেকে সঙ্গে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের হারিয়েছে।

তাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন নাসরাল্লাহ, যিনি দক্ষিণ বৈরুতের বেশ কয়েকটি ভবনে ধারাবাহিক বিমান হামলায় নিহত হন। অন্যরা বহির্বিশ্বে কম পরিচিত ছিল, তবে এখনও হিজবুল্লাহর কার্যক্রমের মূল চাবিকাঠি।

হাসান নাসরাল্লাহ

১৯৯২ সাল থেকে নাসরাল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে এই দলটিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং লেবাননে দলটিকে একটি শক্তিশালী ক্রীড়নকে রূপান্তরিত করার তদারকি করেছিলেন। হিজবুল্লাহ লেবাননের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেছিল এবং আঞ্চলিক সংঘাতে অংশ নিয়েছিল যা এটিকে সবচেয়ে শক্তিশালী আধাসামরিক বাহিনীতে পরিণত করেছিল। ২০১১ সালে সিরিয়ার গণঅভ্যুত্থান গৃহযুদ্ধে রূপ নেওয়ার পর হিজবুল্লাহ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নাসরাল্লাহর অধীনে হিজবুল্লাহ ইরাক ও ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করেছে।

নাসরাল্লাহ লেবাননে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তার সমর্থকরা তাকে ২০০০ সালে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব শেষ করার জন্য প্রশংসা করে, আর তার বিরোধীরা হিজবুল্লাহর অস্ত্রের মজুদ এবং একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সমালোচনা করে।

নাবিল কাউক

শনিবার বিমান হামলায় নিহত কাওক হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের উপপ্রধান ছিলেন। আশির দশকে এই গোষ্ঠীর শুরুর দিকে তিনি এখানে যোগ দেন। কাওক ১৯৯৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর সামরিক কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং নিহত হিজবুল্লাহ জঙ্গিদের জানাজাসহ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তাকে নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হচ্ছিল।

ইব্রাহিম আকিল

আকিল হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার এবং এর অভিজাত রদওয়ান বাহিনীর নেতা ছিলেন। তাকে ইসরায়েল লেবানন সীমান্ত থেকে আরও দূরে সরানোর চেষ্টা করেছে।  এটি ইসরায়েল লেবাননের সঙ্গে তার সীমান্ত থেকে আরও দূরে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি এর সর্বোচ্চ সামরিক সংস্থা জিহাদ কাউন্সিলেরও সদস্য ছিলেন এবং বছরের পর বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ১৯৮৩ সালে বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসে যারা বোমা হামলা চালিয়েছিলেন, আকিল সেই দলের অংশ ছিলেন। এছাড়া জার্মান ও আমেরিকান জিম্মিদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।

আহমাদ ওয়েহবে

ওয়েহবে রাদওয়ান ফোর্সেসের একজন কমান্ডার ছিলেন এবং প্রায় দুই দশক আগে দল গঠনের পর থেকে এই গোষ্ঠীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলীতে একটি বিমান হামলায় আকিলের পাশাপাশি তিনি নিহত হন।

আলী কারাকি

কারাকি হিজবুল্লাহর দক্ষিণাঞ্চলীয় ফ্রন্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং চলমান সংঘাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র তাকে এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বর্ণনা করেছে। কারাকি সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়, যিনি নাসরাল্লাহর সঙ্গে নিহত হয়েছেন।

মোহাম্মদ সুর

হিজবুল্লাহর ড্রোন ইউনিটের প্রধান ছিলেন সুরুর; যা ইসরায়েলের সঙ্গে বর্তমান সংঘাতে প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত হয়েছিল। তার নেতৃত্বে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের গভীরে বিস্ফোরক ও গোয়েন্দা ড্রোন নিক্ষেপ করে, যা তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশ করে, যার বেশিরভাগই গোষ্ঠীটির রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের দিকে মনোনিবেশ করেছিল।

ইব্রাহিম কোবেইসি

হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের নেতৃত্ব দেন কোবেইসি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, ২০০০ সালে উত্তর সীমান্তে তিন ইসরায়েলি সেনাকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন কোবেইসি। চার বছর পর হিজবুল্লাহর সঙ্গে বন্দি বিনিময়ে তাদের মৃতদেহ ফেরত দেওয়া হয়।

অভিযানে নিহত অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কমান্ডার

যুদ্ধের সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার আগে কয়েক মাসেই, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী শীর্ষ কমান্ডারদের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারণ করেছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো জুলাইয়ের শেষের দিকে ফুয়াদ শুকুর। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ইরানে এক বিস্ফোরণ ঘটে, যেটির জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা হয় এবং এতে ফিলিস্তিনি হামাস গোষ্ঠীর নেতা ইসমাইল হানিয়েহ নিহত হন। ১৯৮৩ সালে বৈরুতে বোমা হামলায় ২৪১ জন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় ফুয়াদ শুকুর জড়িত বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র।

দক্ষিণের মূল ইউনিটের নেতারা হলেন- জাওয়াদ তাউইল, তালেব আবদুল্লাহ এবং মোহাম্মদ নাসের। তারা কয়েক দশক ধরে হিজবুল্লাহর সামরিক ক্রিয়াকলাপের সহায়ক সদস্য ছিলেন, সবাইকেই হত্যা করা হয়েছিল।

বাকি রইল কে?

নাসরাল্লাহর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড নাঈম কাসেম সংগঠনটির সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য। কাসেম ১৯৯১ সাল থেকে হিজবুল্লাহর উপনেতা এবং এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। বেশ কয়েকবার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো ধারণা করেছিল, দক্ষিণ বৈরুতে ইসরায়েলি হামলা কাসেমকে লক্ষ্য করে হয়েছিল।

কাসেমই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির একমাত্র শীর্ষ কর্মকর্তা। যিনি চলমান সংঘাতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

এই নেতা রাজনৈতিক ও সুরক্ষা উভয় বিষয়সহ এই গোষ্ঠীর বিভিন্ন দিকের সঙ্গে জড়িত বলে মনে হচ্ছে। তবে লেবাননের শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি হিজবুল্লাহর ধর্মতান্ত্রিক ও দাতব্য উদ্যোগ সম্পর্কিত বিষয়েও জড়িত বলে মনে হচ্ছে।

এদিকে, হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের প্রধান হাশিম সাফিয়েদ্দিন নাসরাল্লাহর উত্তরসূরি হতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। সাফিয়েদ্দিন প্রয়াত হিজবুল্লাহ নেতার চাচাতো ভাই এবং তার ছেলে ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মেয়েকে বিয়ে করেছেন। নাসরাল্লাহর মতো সাফিয়েদ্দিনও প্রথম দিকে হিজবুল্লাহয় যোগ দেন এবং একইভাবে কালো পাগড়ি পরেন।

তালাল হামিদিয়াহ এবং আবু আলী রেদা হলেন হিজবুল্লাহর অবশিষ্ট দুই শীর্ষ জীবিত কমান্ডার। দৃশ্যত ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বর্তমান লক্ষবস্তু তারাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়