ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন আজ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ এক দশক পর প্রথমবারের মতো নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন কাশ্মীরিরা।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই উপত্যকাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার পর জম্মু-কাশ্মীরে এটিই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে জম্মু-কাশ্মিরের সমতল থেকে পাহাড়ি এলাকা।

বুধবারের ভোটগ্রহণ পর্বে সবাইকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় লেখেন, জম্মু ও কাশ্মীরের বিধাসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় নির্বাচনী এলাকার সকলকে বিপুল সংখ্যক ভোট দিতে এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানাচ্ছি।

এবার কাশ্মিরে তিন দফায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। আজ বুধবার প্রথম দফার নির্বাচনে কাশ্মিরের ১৬টি এবং জম্মুর আটটি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। অর্থাৎ জম্মু ও কাশ্মিরে ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে প্রথম দফায় ২৪টিতে আসনে ভোট হচ্ছে।

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ২৬ আসনে এবং এরপর আগামী ১ অক্টোবর তৃতীয় তথা শেষ দফায় ৪০ আসনে ভোটগ্রহণ হবে জম্মু ও কাশ্মিরে। তিন দফায় ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা হবে আগামী ৮ অক্টোবর।

এদিকে প্রথম দফায় ২১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কুলগামের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ ইউসুফ। ডুরুতে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে গুলাম আহমেদ মিরকে। এছাড়াও ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের সাকিনা ইতু, পিডিপির সারতাজ মাদনি, ইলতিজা মুফতির নামও উল্লেখযোগ্য।

ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, বিজেপি, কংগ্রেসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্রসহ সবমিলিয়ে প্রার্থীর সংখ্যা মোট ৯০৯ জন বলে জানা গেছে।

প্রথম পর্বের নির্বাচনে দক্ষিণ কাশ্মিরের চার জেলা পুলওয়ামা, কুলগাম, অনন্তনাগ ও শোপিয়ানের ১৬টি এবং জম্মুর তিন জেলা ডোডা, কিস্তওয়ার ও রামবনের আটটি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ চলছে।

প্রসঙ্গত, বুধবারের ভোটে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ২১৯ জন প্রার্থীর, তাদের মধ্যে ৯০ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে পূর্ণ রাজ্য হওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছে জম্মু ও কাশ্মির। তাই ২০১৪ সালের মতো পূর্ণ রাজ্য হিসেবে জম্মু ও কাশ্মিরে বিধানসভা ভোট হবে না।

এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন বিজেপি বরাবরই বিরোধীদের সমালোচনা করে বলেছে, ‘যতই চেষ্টা করা হোক, ৩৭০ ধারা আর কোনও দিন ফেরানো যাবে না।’

এদিকে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রথম দফার ভোটে ২৩ লাখের বেশি মানুষ ভোট দেবেন।

আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাশ্মির উপত্যকা থেকে বিতাড়িত প্রায় ৩৩ হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিতও প্রথম দফায় ভোট দিতে পারবেন।