শিরোনাম
◈ ওয়াকি–টকি বিস্ফোরণে লেবাননে এবার নিহত ১৪, আহত ৪৫০ ◈ কমিশন থেকে সরে গেলেও যুক্ত থাকবেন শাহদীন মালিক ! ◈ শেখ হাসিনা সরকার রেখে গেছে ১০ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন ◈ কী হয়েছিল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায়? যা জানা গেল ভাইরাল সেই ভিডিওটির সম্পর্কে (ভিডিও) ◈ বিকেলে গণপিটুনি, রাতে জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু  ◈ আন্দোলনে নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ, আহতরা ১ লাখ ◈ প্রধান বিচারপতি যে ১২ নির্দেশনা দিলেন ◈ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থেকে বাদাম বেঁচে খেলেও ভালো করতাম : রিমান্ডে যুবলীগ নেতা ◈ বিদেশে ‘সরানো’ দুই লাখ কোটি টাকার খোঁজে বাংলাদেশ : ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন ◈ আলজাজিরার অনুসন্ধান : যুক্তরাজ্যে ৩ হাজার কোটির সম্পত্তি কিনেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:৫৫ রাত
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় আধিপত্যের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন হাসিনা: পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা দ্যা ডন

আরমান হোসেন : ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চল্লিশ দিন পার হয়েছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা দ্যা ডন নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী একটি আর্টিক্যাল ছেপেছে। 

এতে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের ওপর হাসিনার সরকারের সহিংস দমন-পীড়নের প্রভাব থেকে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেছে।

ছাত্র-জনতার ওপর দমনপীড়নে এক হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানা গেছে। ‘আয়রন লেডি’ হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তোলা শেখ হাসিনা কেন এতো দ্রুত ক্ষমতায় তার দখল হারালেন এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশের পরিবর্তনের ধরনও বুঝতে আগ্রহী বৈশ্বিক বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়।

২০০৯ সাল থেকে হাসিনা স্বৈরাচারের মতো বাংলাদেশকে শাসন করেছেন, একইসঙ্গে তিনি নির্মমভাবে সব বিরোধী দলকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করেছেন।

তবে হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি তার অধীনে বহুদলীয় গণতন্ত্রের অবক্ষয় এবং একদলীয় শাসন চাপানোর প্রচেষ্টা নিয়ে বাংলাদেশে যে ব্যাপক উদ্বেগকে রয়েছে সেটিকে শান্ত করেছে।

বাংলাদেশে এটি অবশ্যই জনগণের মুহূর্ত। এছাড়া এই পরিবর্তনকে বর্ণনা করার জন্য “বর্ষা বিপ্লব”-এর মতো শব্দও ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এই পরিবর্তন স্থায়ী হবে কি না এবং শিগগিরই দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

হাসিনার দল আওয়ামী লীগ যথেষ্ট চাপে পড়েছে, কিন্তু তারা প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করবে, সেটিও আবার এই যুক্তিতে যে- তারা দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির প্রতিনিধিত্ব করে। হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে তার দল জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল।

এছাড়া হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছিল, যদিও সেই উন্নয়ন অন্তর্ভুক্তিমূলক ছিল না এবং বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি বৈষম্যও তীক্ষ্ণ হয়েছিল।

পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে হাসিনা ভারতীয় আধিপত্যের কাছে আত্মসমর্পণ করাকে বেছে নিয়েছিলেন এবং এটি ছিল স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশিদের জন্য শ্বাসরুদ্ধকর। আপাতত, বাংলাদেশে ভারত অনেক চাপে পড়ে গেছে, তবে এটি স্পষ্ট যে- তারা নিজেদের প্রভাব রক্ষার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ৪ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে সক্রিয় বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ হলো- সীমান্ত নিরাপত্তা। যাইহোক, ভারতের নেতাদের জন্য তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জ হলো- কিভাবে তাদের দেশে তারা হাসিনার উপস্থিতি সামলাবেন।

যতদিন হাসিনা দিল্লিতে থাকবেন, ততদিন ঢাকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ২০১৩ সালে উভয় দেশ একটি প্রত্যর্পণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। আর সেই চুক্তি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশে অনেকেই হাসিনাকে এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৯০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলার বিচারের জন্য তাকে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়