শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:০৯ বিকাল
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:০৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জনগণের সঙ্গে এ কেমন বিশ্বাসঘাতকতা মোদির!

সংবিধানের প্রতি সত্যিকারের বিশ্বাস ও আনুগত্য নিয়ে যথাযথভাবে রাষ্ট্রের কাজ করবেন বলে বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রধান বিচারক ও সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারকেরা শপথ নেন। ভারতের বিচারকেরাও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নন। তাঁরাও শপথ নেওয়ার সময় বলেন, ‘কোনও ধরনের ভয়–ভীতি বা অনুরাগ–বিরাগের বশবর্তী না হয়ে দায়িত্ব পালন করব এবং সংবিধান ও আইনকে সমুন্নত রাখব।’

কিন্তু গত ১১ সেপ্টেম্বর যা দেখা গেল, তাতে হতভম্ব হয়ে গেছে ভারতবাসী। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হচ্ছে, ওই দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত গণেশ পূজায় যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মোদির এক্স পোস্ট থেকেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভারতের তিনবারের এই প্রধানমন্ত্রী যেসব ছবি পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা গেছে, প্রজ্বলিত প্রদীপের থালা হাতে আরতি করছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বাঁ দিকে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। ডান দিকে প্রধান বিচারপতির স্ত্রী কল্পনা দাস।

প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে রাষ্ট্রের একজন পদধারী হিসেবে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এবং ঘটা করে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথের লঙ্ঘন কি না? 

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলছে, ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধানের প্রধান এবং মৌলিক বৈশিষ্ট্য। বিশিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক উপেন্দ্র বকশীর উদ্ধৃতি দিয়ে সেই ১৯৯৪ সালেই সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হচ্ছে রাষ্ট্র নিজে কোনো ধর্মকে সমর্থন করবে না বা প্রতিষ্ঠা করবে না, এমনি পালনও করবে না। তবে রাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের ধর্মের স্বাধীনতার সমান অধিকার থাকবে।’ উৎস: ইনডিপেনডেন্ট

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়